বছরে একবার সেপটিক ট্যাংক পরিস্কারের আহবান খুলনা সিটি মেয়রের

0
838

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেছেন, দাতাসংস্থার সহযোগিতায় মহানগরীর মানববর্জ্যরে সুষ্ঠু ও স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। নতুন এ কর্মসূচীর বিষয়ে নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ব্যাপক প্রচারণার বিকল্প নেই। এজন্য ভ্যাকুটাগের মাধ্যমে প্রতিবছর অন্তত একবার সেপটিক ট্যাংক পরিস্কার করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহবান জানান তিনি।

সিটি মেয়র আজ বুধবার সকালে নগরীর শহীদ হাদিস পার্কের উত্তর গেটে নিয়মিত ও নিরাপদ সেপটিক ট্যাংক পরিস্কার প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে সচেতনতামূলক ভ্যাকুটাগ ও ক্যারাভ্যান র‌্যালীর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। কেসিসি’র মানব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মসূচীর আওতায় সেপটিক ট্যাংক পরিস্কারে উদ্বুদ্ধ করতে ‘‘সেপটিক ট্যাংক পরিস্কার-প্রতিবছর একবার’’ ¯েøাগান সম্বলিত ২ মাস ব্যাপী এ প্রচারাভিযানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সিটি মেয়র এ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে বলেন, স্বাস্থ্যসম্মতভাবে সেপটিক ট্যাংক খালি করা যেমন জরুরি তেমনি তা নিরাপদ প্রক্রিয়ায় অপসারণ করাও জরুরি। কেসিসি’র রাজবাঁধ ট্রেন্সিং গ্রাউন্ডে স্থাপিত শোধনাগারে রিসাইক্লিনের মাধ্যমে মানববর্জ্যকে কম্পোস্ট সারে রূপান্তর করা হলে খুলনাকে নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে এক ধাপ এগিয়ে নেয়া সম্ভব হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কান্তি বালার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সচিব মোঃ ইকবাল হোসেন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল আজিজ, কঞ্জাভেন্সী অফিসার মোঃ আনিসুর রহমান, জনসংযোগ কর্মকর্তা সরদার আবু তাহের, এসএনভি নেদারল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের ইঞ্জিনিয়ার এ্যাডভাইজার সহিদুল ইসলাম, কেসিসি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি উজ্জ্বল কুমার সাহা, সিডিসি ফেডারেশনের সভাপতি রোকেয়া রহমান সহ কেসিসি ও প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, খুলনা শহরে বর্তমানে ছোট-বড় মিলিয়ে ৫টি ভ্যাকুট্যাগ রয়েছে। বড় দু’টি যথাক্রমে ৭ হাজার ও ৫ হাজার লিটার এবং ছোট ৩টি’র প্রতিটিতে ১ হাজার লিটার বর্জ্য ধারণের ক্ষমতা রয়েছে। হোল্ডিং মালিকগণ কেসিসি কর্তৃপক্ষ বরাবর যোগাযোগ করলে ভ্যাকুটাগের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে সেপটিক ট্যাংক খালি করা হবে। এছাড়া সুষ্ঠু ও দ্রæত নগরবাসীকে মানববর্জ্য বিষয়ক সেবা দেয়ার জন্য জিআইএস ভিত্তিক ডাটাবেজ ও অনলাইন সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি