দাকোপে আউশ ধানের মাঠ দিবস

0
573
All-focus

নিজস্ব প্রতিবেদক,খুলনাটাইমস :
দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ততা এলাকায় আউশ ধান আবাদে কলা কৌশল ও সার ব্যবস্থাপনার সুফল’র উপরে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
খুলনার দাকোপ উপজেলার পানখালি ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার (৩০ আগষ্ট) সকাল ১১টার দিকে অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চ এবং কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে নিউম্যান প্রকল্প, মারডক বিশ্ববিদ্যালয়, অস্ট্রেলিয়া এবং কৃষি সুরক্ষা সেবাদানকারী সংগঠনের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে সভাপতিত্ব করেন পানখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল কাদের।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. এনামুল কবির। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোছাদ্দেক হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা লাবনী সরকার বন্যা, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রিনা আকতার, সাবেক ইউপি সদস্য শেখ বাবুল আক্তার। মাঠ দিবসে প্রায় ৭০ জন কৃষক-কৃষাণী অংশগ্রহণ করে।

এসময় বক্তারা বলেন, উপকূলীয় অঞ্চালের জমির মাটির উপরিভাগে নদীর পানিতে লবণাক্ততার মাত্র বৃদ্ধি পেতে থাকে। যা ফসলের ক্ষেতে সেচ দেওয়ার উপযোগি থাকে না। তাই এই এলাকার কৃষকেরা সারা বছরে একটি মাত্র ফসল বপন করতে পারত। কিন্তু জলোচ্ছ¡াস সিডর ও আইলার পর থেকে বাংলাদেশ সরকার ও বিভিন্ন কৃষি উন্নয়ন সহযোগি সংস্থার সহযোগিতায় আজ এ অঞ্চলে কৃষিতে বিপ্লব ঘটেছে। যা আগের তুলনায় আবাদ জমিতে প্রায় ৯০ শতাংশ ফসল উৎপাদন করতে সফল হচ্ছে কৃষকরা।

বক্তারা আরও বলেন, ফসল আবাদ জমিতে পরিমিত ও লাভজনক মাত্রায় সুষম সার প্রয়োগ করতে কৃষদের উদ্বুদ্ধ করা, মাটির গুনাগুণ পরিক্ষা করে উপযুক্ত ফসল রোপন করার পরামর্শ দেওয়া এবং সেবাসমূহ কৃষকের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে কৃষিতে উন্নয়ন ঘটেছে। এছাড়া বিভিন্নভাবে গবেষণার মাধ্যমে লবণাক্ততা জমিতে কিভাবে অধিক ফসল ফলানো যায় সে বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে গবেষকরা। তাছাড়া আউশ চাষাবাদের জন্য সেচের পানি প্রয়োজন ছিল। সে অনুযায়ি কৃষকের মতামত অনুসারে বিজ্ঞানীগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে জুলাই থেকে আগষ্ট মাসে ক্রমাগতভাবে বৃষ্টি হয়। সেই বৃষ্টির পানি দিয়ে এ এলাকায় আউশ আবাদ করা সম্ভব হবে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নিউম্যান প্রকল্পের মাঠ কর্মকর্তা রাশেদ খান মেনন।