টোকিও অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী সম্ভাব্য ফুটবল তারকা

0
273

খুলনাটাইমস স্পোর্টস : আগামী ২৪ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত টোকিওতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের ৩২তম আসর। অলিম্পিকের অন্যতম আকষর্ণীয় ইভেন্ট ফুটবলে পুরুষ বিভাগে ১৬টি দেশ অংশ নিবে। ইতোমধ্যেই বাছাইপর্ব শেষে অলিম্পিকে অংশগ্রহনের জন্য নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, স্পেন, জার্মানী, রোমানিয়া, ফ্রান্স, মিশর, আইভরি কোস্ট, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও নিউজিল্যান্ড। কনকাকাফ অঞ্চলের দুটি দল এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কোপা আমেরিকা ও ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপ শেষ হবার সাথে সাথে এবারের অলিম্পিকের আসর শুরু হতে যাচ্ছে। অলিম্পিক গেমসে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো এখনো তাদের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষনা করেনি। তবে সম্ভাব্য কিছু তারকার অংশগ্রহণ প্রায় নিশ্চিতই বলা যায় :
জার্মানী :
কেই হাভার্টজ : ২০১৬ সালে বুন্দেসলিগায় অভিষেক হয় বায়ার লেভারকুজেনের এই মিডফিল্ডারের। ইতোমধ্যেই জার্মানী জাতীয় দলের হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলেছেন হাভার্টজ।
আর্জেন্টিনা :
লটারো মার্টিনেজ : লিওনেল স্কালোনির আর্জেন্টাইন দলের অন্যতম মূল স্ট্রাইকার ২২ বছর বয়সী ইন্টার মিলানের এই তারকা। সেসেপ্টম্বরে মেক্সিকোর বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্টিনা ৪-০ গোলে জয়ী হয়েছিল। ম্যাচটিতে হ্যাটট্রিক করেছিলেন মার্টিনেজ।
এক্সেকুয়েল প্যালাসিও : মাত্র ২১ বছর বয়সে রিভার প্লেট থেকে বায়ার লেভারকুজেনে যোগ দিয়েছিলেন প্যালাসিও। লেভারকুজেনের মূল একাদশের এই অন্যতম নির্ভরযোগ্য মিডফিল্ডার বাম দিকে খেলে থাকেন, বক্সের বাইরে থেকে শক্তিশালী স্ট্রাইকের কারনে প্রতিপক্ষ দলগুলোর জন্য প্রায়ই তিনি বিপজ্জনক হয়ে উঠেন।
লিসান্দ্রো মার্টিনেজ : আয়াক্সের রক্ষনভাগের অন্যতম মূল ভরসার নাম লিসান্দ্রো। বল ছাড়াও তিনি নিজেকে মাঠে যোগ্য প্রমান করেছেন। কোচ এরিক টেন হাগের অন্যতম পছন্দের খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কোচের সিদ্ধান্তে অনেক সময় মধ্যমাঠেও খেলে থাকেন।
ব্রাজিল :
গ্যাব্রিয়েল জেসুস : মাত্র ১৯ বছর বয়সে ঘরের মাঠে রিও অলিম্পিকে স্বর্ণ পদক জয়ের কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন। এবারের মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ১৬টি গোল করেছেন। মূল একাদশে যেখানে তাকে প্রতিদিনই সার্জিও আগুয়েরোর সাথে লড়াই করে টিকে থাকতে হয় সেখানে নিজেকে প্রমানের এর থেকে ভাল উদাহরন আর কি হতে পারে।
রিচারলিসন : জাতীয় দলের কোচ তিতের অধীনে ব্রাজিল দলে নিজেকে নিয়মিত খেলোয়াড়ে পরিনত করেছেন। এভারটনের হয়ে এবারের মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে এ পর্যন্ত ৯টি গোল করেছেন।
রডরিগো ও ভিনিসিয়াস জুনিয়র : রিয়াল মাদ্রিদের এই দুই টিনএজ তারকা কোচ জিনেদিন জিদানের ভবিষ্যত দলের জন্য ইতোমধ্যেই নিজেদের প্রমান করে ফেলেছেন। যে কারনে প্রায়ই তাদেরকে লা লিগায় মূল একাদশে দেখা যাচ্ছে। সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন রডরিগো। বার্নাব্যুতে নভেম্বরে গ্যালাতাসারের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অভিষেকেই মাত্র ১৮ বছর ১১৩ দিনে হ্যাটট্রিক করেছিলেন রডরিগো। ম্যাচটিতে রিয়াল মাদ্রিদ ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল তুরষ্কের জায়ান্টদের।
এডার মিলিটাও : রিয়াল মাদ্রিদে মূলত সার্জিও রামোসের ব্যাক-আপ হিসেবে মিলিটাও খেলে থাকেন। যদিও যখনই সুযোগ পান নিজের যোগ্যতার শতভাগ প্রমান রাখেন। মাঝে মাঝে তিনি রাইট-ব্যাক হিসেবেও খেলে থাকেন।
রেনান লোদি : ফিলিপ লুইসের জায়গা পূরণ করতে গত গ্রীষ্মে এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদে যোগ দিয়েছিলেন। ইতোমধ্যেই তিতের চোখে পড়েছেন এই লেফট-ব্যাক।
গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি : এবারের মৌসুমে আর্সেনালের হয়ে দারুন পারফর্ম করে যাচ্ছেন। ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড মাত্র ১৮ বছর বয়সেই মূল একাদশে নিজের জায়গা শক্ত করে নিয়েছেন। প্রিমিয়ার লিগে এবারের মৌসুমে এখন পর্যন্ত করেছেন ১০ গোল।
এমারসন : রিয়াল বেটিসের এই রাইট-ব্যাকের দিকে ইতোমধ্যেই চোখ পড়েছে বার্সেলোনার। ২১ বছর বয়সে অলিম্পিক গেমসে অংশগ্রহণ করতে পারলে তার স্বপ্ন পূরণ হবে।
স্পেন :
আনসু ফাতি : গিনি বিসাউতে জন্মগ্রহণ করলেও স্পেনের নাগরিক এই ১৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড প্রতিদিনই যেন নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই এই ফরোয়ার্ড বার্সেলোনার জার্সি গায়ে বেশ কয়েকটি রেকর্ড করে ফেলেছেন।
রোমানিয়া :
ইয়ানিস হ্যাজি : সাবেক কিংবদন্তী জিওর্জি হ্যাজির ছেলে ইয়ানিসের জন্ম তুরষ্কে। জানুয়ারিতে জেঙ্ক থেকে রেঞ্জার্সে যোগ দিয়েছেন ২১ বছর বয়সী এই এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। ইতোমধ্যেই রোমানিয়া জাতীয় দলের হয়ে ১০টি ম্যাচ খেলেছেন।
ফ্রান্স :
কিলিয়ান এমবাপ্পে : ২১ বছর বয়সী বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা এখন জাতীয় দলের হয়ে ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপ ও অলিম্পিক গেমসে খেলার লক্ষ্য নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন। একসাথে দুটি বড় আসর খেলতে পারাটা তার কাছে স্বপ্নের মত মনে হচ্ছে বলে এমবাপ্পে মন্তব্য করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো যদি বাছাইপর্বের বাঁধা পেরুতে পারে তবে এই প্রতিভাবান তরুনদের সাথে আরো যোগ হতে পারেন ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ, গিওভান্নি রেইনা, আলফোনসো ডেভিস, দিয়েগো লেইনেজ, হোসে মাসিয়াসের মত ভবিষ্যত তারকারা।