গণপতিপুর এবতেদায়ী মাদ্ররাসায় একই পরিবারের ৭জন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য

0
209

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একটি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্ররাসায় একই পরিবারের ৭জন শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি সদস্য হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনা এলাকায় প্রচার হওয়ার পরে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধু হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে গণদরখাস্ত দিয়েছে। ঘটনার বিবরণে ও এলাবাসীর পক্ষে হেলাতলা ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মাজেদ বিশ^াস বুধবার সকালে সাংবাদিকদের জানান-উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের গণপতিপুর গ্রামে স্বতন্ত্র এবতেদায়ী নামে একটি মাদ্ররাসা ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। মাদ্ররাসাটি ১৯৮৮ সালে শিক্ষার্থী সংকটের কারনে পাঠদান বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু গোপনে ওই এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী জোহরা খাতুন, লিয়াকত আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, রুহুল কুদ্দুস, মৃত রিয়াজ উদ্দীন মোড়লের ছেলে শওকত আলী নিজেদের শিক্ষক ও ওই মাদরাসায় মৃত রিয়াজউদ্দীন মোড়লের ছেলে লিয়াকত আলী, মোহাম্মাদ আলী মোড়ল, মোহাম্মাদ আলী মোড়লের ছেলে আনিছুর রহমান, মৃত নুর আলী মন্ডলের ছেলে নজরুল ইসলাম, লিয়াকত আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী জোহরা খাতুন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্য পরিচয় দিয়ে খাতা কলমে ৫ বছর চলমান দেখিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শতভাগ পাশ দেখিয়ে এবং ভূয়া ছাত্র-ছাত্রী দেখিয়ে সরকারী বই গ্রহন করেছে। পরে এলাকাবাসী ও মাদ্ররাসার জমিদাতা এবং মূল কমিটির সদস্যরা মাদ্ররাসায় অনিয়মের বিষয়টি জানতে পারলে তাদের সাথে সমন্বয় করে প্রতিষ্ঠানটি পূর্নরায় চালু করতে চাইলে তারা সম্মতি দেন নি। এদিকে এলাকাবাসী সকলের সম্মতিক্রমে মাদ্ররাসাটি বৈধভাবে পরিচালনার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। হেলাতলা ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মাজেদ বিশ^াস আরো জানান-তিনি সহ ওই মাদ্ররাসার জমিদাতা ও মূল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা অভিযোগ পত্রে স্বাক্ষর করেছেন। গত ২১ জানুয়ারী ২০২০ তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে ওই অভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়। এদিকে অভিযুক্তদের ফোনে ফোন দিলেও তারা রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।