বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে সাংসদ বাবু’র সংবাদ সম্মেলন

0
183

কয়রা প্রতিনিধি:
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ও নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে কয়রা উপজেলায় ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ মেরামত কাজ পরিদর্শনকে কেন্দ্র করে খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবুকে জড়িয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (২ জুন) বিকালে কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু এমপি।সংবাদ সম্মেলনে সাংসদ আক্তারুজ্জামান বাবু তার বর্ণাঢ্য রাজনীতির ইতিবৃত্ত ও সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাÐ তুলে ধরে আরও বলেন, গণমাধ্যম আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। প্রকৃত ঘটনা হলো, মঙ্গলবার (১ জুন) সকালে কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া এলাকায় ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজ পরিদর্শন যাই। সেখানে স্বেচ্ছাশ্রমে কয়েক হাজার মানুষ কাজ করেন। তারা আমার কাছে টেকসই বেড়িবাঁধের জোরালো দাবি তোলে। আমি তাদের আশ্বস্থ করি দ্রæত সময়ের মধ্যে টেকসই বেড়িবাঁধ কাজ শুরু হবে। তখন আমি তাদের সাথে বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজে অংশ গ্রহণ করি। অথচ, প্রথম আলো পত্রিকাসহ কয়েকটি গণমাধ্যম ঘটনার কয়েক সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে প্রচার করলেও সম্পূর্ণ ঘটনা প্রকাশ করেনি। তিনি বলেন, দলের নৌকা প্রতিকের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া এবং কখনও নৌকার প্রতিকের পক্ষ আবার দলের বিদ্রােহীদের উৎসাহ দাতা ঘাপটিমারা কয়েকজন ব্যক্তি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এর আগে আম্পান পরবর্তী বাঁধ নিয়ে এমনটি ষড়যন্ত্র করছিলেন এবং তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল করেছেন। তিনি বলেন, জামাত ইসলামের এক কেদ্রীয় নেতাকেও তারা কয়রায় এনে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে সাংসদ বাবু এ ধরনের কিছু ছবি সাংবাদিকদর কাছে হস্তান্তর করেন। দীর্ঘ ১ ঘন্টার সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমপি বাবু বলেন, ১২০ কিলোমিটার কয়রায় বেড়িবাঁধ একসাথে সংস্কার করা সম্ভব নয়। এছাড়া মােটা অঙ্কের একটি বরাদ্ধ পাশ হলেও পানি উনয়ন বাের্ড তার কাজ শুরু করতে আরও কয়েকমাস সময় লাগবে। তিনি বলেন, আম্পান এবং এবারের ইয়াস চলাকালীন সময় তিনি কয়রার মাটিত অবস্থান করছিলেন এবং খুলনার অনেক গণমাধ্যম কর্মীর কাছে তিনি ঔ সময় দূর্যােগ প্রস্তুতি সম্পর্কে বক্তব্যও দিয়েছিলন। সাংসদ সর্বশেষ বক্তব্যে গণমাধ্যম কর্মীদর জানান, টেকসই বেড়িবাঁধ কয়রায় অবশ্যই হবে, ইনশাআল্লাহ।
কিন্তু জামাত-বিএনপি ও দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কুচক্রীমহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে ও সাংবাদিকদের কাছে অসত্য তথ্য উপস্থাপন করছে। একটি বিশেষ মহল তারা সরকারের উন্নয়ন ও আমার সাংগঠনিক কার্যক্রম সহ্য করতে না পেরে আমার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করে জাতির কাছে আমাকে ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষূন্ন করতে অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এমপি বাবু বলেন, ষাটের দশকে নির্মিত বাঁধগুলো দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এসব বাঁধ জোয়ারের পানির চাপ সহ্য করতে পারছে না। এজন্য সরকার টেকসই বাঁধ নির্মাণের মেগা প্রকল্প নিয়েছে। সেই কাজ শুরু হওয়ার আগে বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানসমূহ জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। পানিসম্পদ উপমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্রæত পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। স্থানীয় জনগণও স্বতঃস্ফুূর্ত ভাবে বাঁধ সংস্কারে অংশ নিচ্ছে। সংস্কার কাজের অগ্রগতি দেখতে উপমন্ত্রী চলতি সপ্তাহে ওই এলাকায় যাবেন বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আনোয়ার ইকবাল মন্টু, কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জিএম মোহসিন রেজা, জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. কেরামত আলী, পাইকগাছা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাফরুল ইসলাম পাড়, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম বাহারুল ইসলাম,উত্তর বেদকাশী ইউপি চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলু, পাইকগাছার লস্কর ইউপির চেয়ারম্যান কেএম আরিফুজ্জামান তুহিন, বাগালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আঃ সামাদ গাজী, আমাদী ইউপির নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জিয়াউর রহমান জুয়েল, আওয়ামী লীগ নেতা হারুন অর রশীদ, কয়রা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম জিয়াদ আলী, মহারাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার খায়রুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গনেশ মন্ডল, খুলনা জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাবু, জেলা যুবলীগ নেতা শামীম সরকার, পাইকগাছা উপজেলা যুবলীগ নেতা এম এম আজিজুল হাকিম, কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেজবা উদ্দিন মাসুম, কয়রা উপজেলা যুবলীগ নেতা এ্যাড. আরাফাত হোসেন, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক আফি আজাদ বান্টি, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোঃ আবু সাঈদ খান, ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল ইসলাম সজীব, জেলা ছাত্রলীগ নেতা পার্থ প্রতিম চক্রবর্তী, মাসুদুর রহমান মানিক, কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ শরিফুল ইসলাম টিংকু, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বাদল, পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজিম মুস্তাফিজ বাচ্চু, পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হান পারভেজ রনি, জেলা ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ রানা প্রমুখ।