সাড়ে তিন বছর ধরে প্রবাসী যুবক রিপন বয়াতী এখন হরিণ শিকার মামলার আসামী

0
215

শরণখোলা প্রতিনিধি:
সাড়ে তিন বছর ধরে প্রবাসী যুবক রিপন বয়াতী (২৭) এখন হরিণ শিকার মামলার আসামী। এমন অভিনব ঘটনা ঘটেছে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের শাপলা টহল ফাঁড়িতে ।
শরণখোলা উপজেলার শরণখোলা (খুড়িয়াখালী) গ্রামের মৃতঃ চান বয়াতীর পুত্র মৎস্যজীবি রুস্তম বয়াতী সাংবাদিকদের কাছে লিখিত অভিযোগে জানান, তার আপন ছোট ভাই রিপন বয়াতী মালয়েশীয় একটি কোম্পানীতে চাকুরী নিয়ে ২০১৭ সালের ৮ আগষ্ট মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে যায়। সে থেকে অদ্যবধি রিপন সেখানে অবস্থান করছে। অথচ গত ৮ জানুয়ারী ২০২১ তারিখে সুন্দরবনের শাপলা টহল ফাড়িঁর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অনিমেষ সরকার বাদী হয়ে একটি হরিণ শিকারের অপচেষ্টার মামলায় রিপন বয়াতীকে দুই নম্বর আসামী করা হয়েছে।
মালয়েশিয়া থেকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টারী কাজপত্র ইমেইল মেসেঞ্জারে পাঠিয়ে মোবাইল ফোনে এ প্রতিনিধিকে রিপন বয়াতী বলেন, ২০১৭ সালের ৮ আগষ্ট বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া আসার পর এ পর্যন্ত বাংলাদেশে যাইনি। সাড়ে তিন বছর যাবৎ মালয়েশিয়ার মুরজোহর এলাকায় ফেংইয়ান ইন্ডাষ্ট্রিজে চাকুরী করছেন। বন মামলায় আসামী হওয়ার খবর পেয়ে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে প্রশাসনের কাছে এর প্রতিকার দাবী করেছেন।
জানতে চাইলে মামলার বাদী শাপলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অনিমেষ সরকার মুঠেফোনে বলেন, হরিণধরার ফাঁদ পেতে অন্য আসামীদের সাথে জঙ্গলের মধ্যে রিপন বয়াতীকেও তিনি দৌড়ে যেতে দেখেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের খুড়িয়াখালী ওয়ার্ড মেম্বার বাচ্চু মুন্সি বলেন, চান বয়াতীর পুত্র রিপন বয়াতী প্রায় চার বছর মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন।। এ ছাড়া এই নামে আর কোন লোক খুড়িয়াখালী (শরণখোলা) গ্রামে নেই বলে ঐ মেম্বার জানান।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ( ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন মুঠোফোনে বলেন, নিরীহ মানুষের মামলার আসামী হওয়ার সুযোগ নেই এ ব্যাপরে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।