সংবাদ প্রকাশের জের: আশাশুনিতে পাইপ লাইনের পানি বন্দ থাকায় সুপেয় পানির সংকট, নড়ে চড়ে বসেছেন প্রশাসন

0
278
  • সাতক্ষীরা নির্বাহী প্রকৌশলীর ঘটনা তদন্ত

 আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনিতে পাইপ লাইনের পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় সুপেয় পানির তীব্র সংকটের ঘটনায় বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় নড়ে চড়ে বসেছেন প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থানে তদন্তে আসেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আরশেদ আলী। তদন্তকালে আশাশুনি গ্রামে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের পরিচালক সরদার হাফিজুর রহমান বলেন, গোদাড়া গ্রামে তার এই পানির প্রকল্পটি অবস্থিত। শুষ্ক মৌসুম আসার কারণে আশাশুনি প্রকল্পের পানি ৮ ঘন্টা উত্তোলন করলে গোদাড়া সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের টিউবওয়েলের পানি উত্তোলন হচ্ছে না। শোভনালী ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক ম. মোনায়েম হোসেন অত্যন্ত বিচক্ষনতার পরিচয় দিয়ে বিভাজন করে গোদাড়াসহ কয়েকটি গ্রামে ২০ ঘন্টা ও আশাশুনিতে ৪ ঘন্টা পানি উত্তোলন বরাদ্দ করেন। এছাড়া আশাশুনি গ্রামে পুকুরের পানি শুকিয়ে যাওয়ার কারনে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি নিয়ে গোসল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ করছেন। একারণে পানি অতিরিক্ত অপচয়ের ফলে আশাশুনির জেলেখালী-দয়ারঘাটে পাইপ লাইনের শেষ পর্যন্ত পানি উঠছে না। আশাশুনির অন্যান্য গ্রামগুলিতে যথারিতী সুপেয় পানি সরবরাহ ঠিক রয়েছে। একটি অসাধু চক্র প্রকল্প সৃষ্টির পর থেকে প্রকল্পটির ক্ষতি করতে নানাভাবে পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া তদন্তকালে কর্মকর্তারা জানান, এব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি প্রতিবেদন পাঠানো হচ্ছে। তদন্তকালে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা সদর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান, আশাশুনি উপসহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান।