শরণখোলায় পিএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে উত্তরপত্র বলে দেন শিক্ষকেরা

0
461

শেখ মোহাম্মদ আলী, শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের শরণখোলায় চলতি পিএসসি (সমাপনী) ও এবতেদায়ী-২০১৭ পরীক্ষায় কামলমতি শিক্ষার্থীরা ব্যাপক নকলের সুবিধা নিচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। প্রথম দিন থেকেই এক শ্রেণীর অসাধু শিক্ষকেরা পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র বলে দেয়ার অভিযোগ ওঠে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি বছর উপজেলার ৪ ইউনিয়নের ৮টি কেন্দ্র সরকারি ও বে-সরকারি ১৪৯টি প্রাথমিক স্কুল ও মাদ্রাসার ২৫৯৭জন কামলমতি শিক্ষার্থী ৫ম শ্রেণীর সমাপনি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকেরা তাদের নিজ নিজ বিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ও পাশের হার বাড়িয়ে শিক্ষা বিভাগ থেকে বাহবা নেয়ার উদ্দেশ্যে এমন অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি কামলমতি শিক্ষার্থীদের মনের মধ্যে অনৈতিক কর্মকান্ডের সুচনা তৈরী করে জাতিকে মেধাশুন্য করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন।

বিভিন্ন ভাবে নকল সরবরাহের পাশাপাশি শিক্ষকেরা নৈব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর প্রতি কক্ষে কক্ষে পৌছে দেন শিক্ষার্থীদের। এ জন্য শিক্ষক সমিতির কতিপয় নেতা গোপনে বৈঠকের মাধ্যমে পরীক্ষা শুরুর পূর্বে ৮ টি কেন্দ্র ৮ জন অভিজ্ঞ শিক্ষককে দায়িত্ব প্রদান করেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই শিক্ষকেরা পরীক্ষার্র্থীদের শর্ট প্রশ্নের উত্তর বলে দেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্লাক বোর্ডে উত্তর লিখে দেন বলে কয়েকটি সুত্র জানায়।

সূত্রমতে উপজেলা সদর রায়েন্দা, ধানসাগর, খোন্তাকাটা ও সাউথখালী ইউনিয়নের ৮ টি কেন্দ্র প্রত্যেক পরীক্ষায় ব্যাপক নকল সরবারহ হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে, কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, কোন প্রশ্ন না পারলে স্যাররা উত্তর বলে দেয়। নৈব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর পত্র প্রত্যেক কক্ষে কক্ষে সরবরাহ করেন। অনক সময় বোর্ডেও লিখে দেন। এমনকি আগামী ২৬ নভেম্বর গনিত পরীক্ষায়ও উত্তর পত্র কোন সমস্যা হবে না বলে ওই পরীক্ষার্থীরা জানান। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক মেধাবী পরীক্ষার্থীদের কয়েকজন অভিভাবক ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্র যে ভাবে উত্তরপত্র বলে দেয়া হয় তাতে ছেলে মেয়েরা আর লেখা-পড়া করার প্রয়োজন মনে করবে না।
এ ব্যাপার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই, তবে খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন। অপরদিকে, উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস জানান, এ বিষয় তার নিকট কেউ অভিযাগ করেননি। তবে আগামী দিনের পরীক্ষাগুলা কঠোর ভাবে তদারকী করা হবে।##