দক্ষিণাঞ্চলে বিনিয়োগ তথা শিল্প সম্ভাবনা যাচাইয়ে ভিডিও কনফারেন্স

0
499

তথ্য বিবরণী :

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) মোঃ আবুল কালাম আজাদের সাথে খুলনা ও বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের ভিডিও কনফারেন্স আজ দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিভিন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দন।

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলকে ঘিরে যে উন্নয়ন সম্ভাবনা রয়েছে তা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে এ ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা ও বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার তাঁদের স্ব-স্ব দপ্তর উপস্থিতিতে কর্মকর্তাসহ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তীর্ণ চর এলাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা যাচাইসহ পর্যটন ও শিল্প সম্ভাবনার বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন।

খুলনার বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরায় জেগে ওঠা চরসমূহে বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনা বিরাজমান। প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল হিসেবে সুন্দরবনের ভিতরে নতুন নতুন চর ক্রমান্বয়ে তার আয়তন বাড়িয়ে চলেছে। এর দক্ষিণ সমুদ্রের মাঝে রয়েছে প্রায় ৫০ কিলোমিটারব্যাপী হিরণপয়েন্ট যা পর্যটনের জন্য সুপরিচিত। হিরণপয়েন্টে আনুমানিক আট কি.মি. দক্ষিণ রয়েছে চার বর্গ কিলোমিটারব্যাপী বঙ্গবন্ধু চর। এখানে ক্রমবর্ধমান ভূমিতে অফুরন্ত উন্নয়ন সম্ভাবনার হাতছানি। তাছাড়া দুবলার চরে আগে থেকেই শুটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। সাতক্ষীরার মুন্সীগঞ্জের কৈখালি এলাকাতে প্রায় বারো’শ একর জায়গা যা মালঞ্চ নদীসহ পাঁচটি নদীর মিলনস্থল, তা ট্যুরিজমের জন্য বিবেচনা করা যেতে পারে। তাছাড়া খুলনার রুপসা নদীর ভাটিতে একশ ৫৫ একর জায়গা শেখ রাসেল ইকো পার্কের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে খুলনার বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া মুখ্য সমন্বয়ককে অবহিত করেন। বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শহীদুজ্জামান ভোলাতে প্রাকৃতিক গ্যাস নির্ভর শিল্প গড়ে তোলাসহ বরগুনা-পটুয়াখালীর বিভিন্ন এলাকা যেমন রাঙাবালি, সোনারচর, চর নিজামসহ বিভিন্ন এলাকাতে যাচাই পূর্বক একাধিক মেগা প্রকল্পের সম্ভাবনার কথা বলেন।

ভিডিও কনফারেন্সে মুখ্য সমন্বয়ক দক্ষিণাঞ্চলের প্রস্তাবিত এসব সম্ভাবনা যাচাইয়ে অচিরেই এসব এলাকা পরিদর্শনের অভিমত ব্যক্ত করেন।