মাতৃভূমি রক্ষার্থে তিনি ছিলেন অবিচল

0
182

খবর বিজ্ঞপ্তি:
মাতৃভূমি রক্ষার্থে ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে দেশের জন্য লড়াই করেছেন সি আর দত্ত। তিনি সারা জীবন সেই লক্ষ্যে কাজ করে গেছেন। কোনো কিছু নিয়ে তার কখনও কোনো আক্ষেপ ছিলো না। তার সারাটি জীবনের সবটুকু স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে নিয়ে। সোনার বাংলার উন্নতি হবে কীভাবে তাই নিয়ে ভাবতেন তিনি। সি আর দত্ত শুধু মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন সংগঠক। দেশের যে কোনো ক্রান্তিকালে তিনি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করেছেন। রণাঙ্গনে তার সাহসী ভূমিকা জাতি চিরদিন স্মরণ করবে। সি আর দত্তের নাগরিক স্মরণসভায় বক্তারা একথা বলেন।
শনিবার বেলা ১১টায় বিএমএ মিলনায়তনে গুণীজন স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে যুদ্ধকালীন ৪ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার অবসরপ্রাপ্তমেজর জেনারেল সি আর দত্তের স্মরণে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভঅয় সভাপতিত্ব করেন বিএমএ’র সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম। সভায় সঞ্চালনা করেন গুণীজন স্মৃতি পরিষদের সমন্বয়কারী সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন। প্রবন্ধ পাঠ করেন চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক গোপী কৃষন মুন্ধড়া।
সভায় মূখ্য আলোচক বৃহত্তর খুলনা জেলার মুজিব বাহিনীর প্রধান, বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ কামরুজ্জামান টুকু বলেন, তখনকার দেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক না। পাকিস্তান রাষ্ট্রটির জন্মই হয়েছিল ধর্মান্ধতার কারণে। উপমহাদেশের দুইটি দেশ ভারত আর পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকেই শুরু সাম্প্রদায়িকতা। তিনি বলেন, সি আর দত্তরা এদেশের সকল অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়ে গেছেন আজীবন। এমন সাহসী সৎ বাঙালি এখন আর চোখে পড়ে না। পরিণত বয়সে চলে গেলেও তার অভাব অনুভূত হবে দীর্ঘকাল। যতোদিন গণতন্ত্র অসাম্প্রদায়িকতা আর সাম্যের দেশ না হচ্ছে ততোদিন তার মতো মানুষদের অভাব ঘুচবে না। আর ইতিহাসে তার তারকাখচিত জায়গাটি চিরকালের। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড: আ ফম মহসিন, মুক্তিযুদ্ধের গবেষক সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দী, জেপির প্রেসিডিয়াম সদস্য শরীফ শফিকুল হামিদ চন্দন, জাসদের মহানগর সভাপতি খালিদ হোসেন, ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগর সভাপতি মফিদুল ইসলাম, সিপিবি নেতা রসু আক্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধামোড়ল নূর মোহাম্মদ, হিন্দু-বৌদ্ধ- খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের মহানগর সভাপতি বীরেন্দ্র নাখঘোষ, নারী নেত্রী পপী ব্যানাজী প্রমুখ। জাতীয় সংঙ্গীতের মাধ্যমে স্মরণ সভা শুরু হয়। সভায় বক্তারা বলেন, জেনারেল এরশাদ যখন তার সামরিক ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করে দেশের মানুষকে ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত করতে চেয়েছিলেন, তখন সি আর দত্ত সেখানে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন।