কাজী হিরোক : খুলনার ফুলতলা বাজারে সরকারি নিয়ম নীতি ও প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রভাবশালী মহল সরকারি খাস জমিতে ভবন নির্মানের মহোৎসব চলছে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা সত্ত্বেও রমেশ কুন্ডুর দখলকৃত খাস জমিতে ব্যবসায়ী শান্ত কুন্ডু ও বিপ্র কুন্ডু ভবন নির্মান করেন। এদিকে মৃতঃ নিমাই কুন্ডুর পুত্র বিপুল কুন্ডু নতুন করে ভবন নির্মান কাজ শুরু করেছেন। ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ফুলতলা বাজারের তামাক পটিতে সরকারি খাস খতিয়ানে ১৮৯ নং দাগে দক্ষিণডিহি গ্রামের রমেশ কুন্ডু ও নিমাই কুন্ডুর স্থাপনা রয়েছে। আদালত কর্তৃক ঐ ভবনে সিলগালা করে দেয়া হয়। এর কিছু দিন পর রাতের আধারে তালা ও সিলগালা অপসারণ করে রমেশ কুন্ডু জর্দা ব্যবসায়ী সুবির দাসের নিকট ভাড়া এবং বিপুল কুন্ডু নিজেদের দখলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে চালু করে। সম্প্রতি রমেশ কুন্ডুর দখলকৃত খাস জমিতে শান্ত কুন্ডু ও বিপ্র কুন্ডু ভবন নির্মানের কাজ শুরু করেন। বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা ভুমি অফিস থেকে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে কিছু প্রভাশালীদের ম্যানেজ করে তারা রাতের আধারে পুনঃরায় ভবন নির্মাণ সম্পন্ন করে। এ ব্যাপারে রমেশ কুন্ডুর পরিবারের পক্ষ থেকে আদালতের নিশেধাজ্ঞার কথা স্বীকার করে তাদের পক্ষে রায়ের কথা বলা হয়। যদিও সে সম্পর্কীত কোন কাগজপত্র দেখাতে ব্যার্থ হন। শান্ত কুন্ডু ও বিপ্র কুন্ডু ভবন নির্মানের কথা স্বীকার করে বলেন, রমেশ কুন্ডু অসুস্থ থাকায় তার দখলকৃত জায়গায় ভাড়ার ভিত্তিতে ঘর করা হয়েছে। এদিকে নিমাই কুন্ডুর পুত্র বিপুল কুন্ডু সরকারি খাস খতিয়ানের একই দাগভুক্ত জমিতে নতুন করে ভবন নির্মানের কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে ইউনিয়ন ভুমি অফিসের পক্ষ থেকে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে গতকাল (বুধবার) পুনঃরায় কাজ শুরু করে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিপুল কুন্ডু ভবন নির্মানের কথা অস্বীকার করে বলেন, পুরাতন ঘর ও ইটের গাদায় সাপের খোলস দেখা দেয়ায় সংস্কার ও পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। ভারপ্রাপ্ত ইউএনও ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) রুলী বিশ্বাস খাস জমিতে ভবন নির্মান সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগের কথা স্বাীকার করে বলেন, তদন্তের জন্য তহসিলদার ও সার্ভেয়ারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পাইলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ফুলতলা ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপ-সহকারী গাজী সাকিল আহম্মেদ খাস জমি দখল করে ভবন নির্মানের কথা স্বীকার করে বলেন, বিভিন্ন সময়ে নির্মান কাজে নিষেধ করা সত্ত্বেও অফিস ছুটি এবং রাতের আধারে গোপনে তারা নির্মান কাজ করে। সহকারী কমিশনার কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে প্রতিবেদন প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে।