পাকিস্তান এখন সন্ত্রাসবাদের নিজ ফাঁদেই কুপোকাত

0
157
পাকিস্তান এখন সন্ত্রাসবাদের নিজ ফাঁদেই কুপোকাত

টাইমস আন্তর্জাতিক: নিজ ওষুধেই কুপোকাতের দিকে পাকিস্তান। কেননা পাকিস্তান ১৯৮০ সাল থেকে যেসব ইসলামিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল যারা সেসময় থেকে জিহাদ অনুশীলন করছে। এখন তারাই পাকিস্তানকে কামড় দিতে শুরু করেছে। অসংখ্য সন্ত্রাসী সংগঠন ও জঙ্গি গোষ্ঠী পাকিস্তানকে তাদের স্থায়ী আবাসে পরিণত করেছে। এ নিয়ে পাকিস্তান তার পদক্ষেপের জন্য অনেক আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের কাছ থেকে নিন্দা ও বিচ্ছিন্নতার সম্মুখীন হয়। পাকিস্তান সমাজ একটি ‘ধর্মগুরু-অপরাধী’ ও সুবিধাবাদী-সন্ত্রাসী জোটের হাতে বিধ্বস্ত যা দেশটির সামাজিক ভারসাম্যকে আরও গভীর করে তুলছে। কয়েক দশক ধরে শক্তি অর্জনকারী ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো আজ তাদের রাজনৈতিক ও সামরিক পৃষ্ঠপোষকদের থেকে বেশি শক্তিশালী ও স্বাধীন। এদের অনেকেই এখন পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চলে গেছে এবং লস্কর-ই-তৈয়বার মতো কেউ কেউ ভবিষ্যতে তা করতে পারে। পাকিস্তানে অসংখ্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বসবাস নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস গত অক্টোবরে রিপোর্ট করেছে। রিপোর্টে পাকিস্তানের সন্ত্রাসীদের পাঁচটি গ্রæপে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। এসব হচ্ছে, বিশ্ব ভিত্তিক, আফগানিস্তান ভিত্তিক, ভারত এবং কাশ্মির-ভিত্তিক, অভ্যন্তরীণ ভিত্তিক ও সা¤প্রদায়িক (শিয়া-বিরোধী)। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে মনোনীত অন্তত ১২টি গোষ্ঠীর আবাসস্থল। যার মধ্যে পাঁচটি ভারতকেন্দ্রিক যেমন লস্কর-ই-তৈয়বা এবং জইশ-ই-মোহাম্মদ। হরকাত-উল জিহাদ ইসলামি (এইচইউজেআই) ১৯৮০ সালে আফগানিস্তানে সোভিয়েত সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করার জন্য গঠিত হয়। এরপর ২০১০ সালে এফটিও হিসেবে মনোনীত হয়েছিল। ১৯৮৯ সালের পর এই গোষ্ঠী ভারতের বিরুদ্ধে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে। যদিও এটি আফগান তালেবানকে যোদ্ধা সরবরাহ করেছিল। প্রতিবেদনের মতে, পাকিস্তান থেকে পরিচালিত অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে রয়েছে আল কায়েদা। যা প্রাথমিকভাবে সাবেক ফেডারেল অ্যাডমিনিস্টার্ড ট্রাইবাল এরিয়াস (এফএটিএ) এবং করাচিতে, সেইসঙ্গে আফগানিস্তানেও কাজ করে। এটি ২০১১ সাল থেকে আয়মান আল-জাওয়াহিরির নেতৃত্বে রয়েছে এবং দেশের অভ্যন্তরে অনেক গোষ্ঠীর সঙ্গে সহায়ক সম্পর্ক বজায় রেখেছে বলে জানা যায়। এদিকে প্রতিবেদন বলছে, পাকিস্তান সরকার ও সামরিক সংস্থা উভয়ই তালেবানের সংস্থা সম্পর্ক বজায় রেখেছিল। কেননা তারা মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পরে আফগানিস্তানের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে বলে আশা করেছিল। অন্যদিকে, এটি বেশ কয়েকটি জঙ্গি প্রক্সিকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতে থাকে এই বিশ্বাসে যে তারা এটিকে ভারতে স্থান দেবে। যাইহোক এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠী উল্টো পাকিস্তানের কাঁধে এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাতেই রেখে দিয়েছে জাতিসংঘ মনোনীত ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ।