বিজ্ঞপ্তি : আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগে যখন মানুষ মানুষের উপর পাশবিক নির্যাতন করতো, মানুষ যখন অধর্মের দিকে বেশী ঝুঁকে পড়েছিলো ঠিক সেই সময়েই নবী করীম (সঃ) এর জন্ম হয়। তিনি বাল্যকাল হতেই মানুষে মানুষের বিভেদ, একে অন্যকে খাটো করে দেখা, মিথ্যা বলে প্রহসন করে মানুষকে প্রতারিত করার বিরুদ্ধে অত্যন্ত ধৈর্য্যরে সাথে মোকাবেলা করেছেন। মানুষকে সত্যের পথে এনে সুন্দর জীবনের দিকে এগিয়ে দিয়েছেন। নবী করীম (সঃ) মানুষের মাঝে ইসলামের কথা বলে শান্তি স্থাপনের চেষ্টা করেছে। সেই অন্ধকারের যুগকে তিনি আলোর পথে নিয়ে এসেছেন। মানুষকে সৎ কাজের আদেশ অসৎ কাজের নিষেধ করেছেন। সেজন্যেই তাকে আল আমিন বলা হতো। তিনি শান্তির দূত হিসেবে পৃথিবীতে এসেছিলেন। তাই তো তিনি বিশ্বের সেরা মানব হিসেবে সারা বিশ্বে তাঁর অবস্থান করে গেছেন। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে চললে কোন মানুষ কখনও বিপথে চলতে পারে না। কোন মানুষ অসৎ পথে চলতে পারে না, ঘুষ, দুর্ণীতি, অনিয়ম আর রাষ্ট্র পরিপন্থি কাজে জড়িত হতে পারে না। একজন মানুষ অন্য মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারে না। আজ দেশের মানুষ সৎ পথে চলার উদ্যোগ নিয়ে তাতেই দেশ অল্প সময়ে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। মানুষের সততা যত বাড়বে ততই দেশের সার্বিক উন্নতি দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকবে। নেতৃবৃন্দ সকলের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আসুন আমরা সবাই ইসলাম এবং নবী করীম (সঃ) এঁর জীবনাদর্শকে অনুসরণ করে দেশ ও জাতির উন্নয়নে এক সাথে কাজ করি।
বুধবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় দলীয় কার্যালয়ে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঈদ ই মিলাদুন্নবী (সঃ) উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী, মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগ যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, নুর ইসলাম বন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. ফারুক আহমেদ। মহানগর আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মো. মফিদুল ইসলাম টুটুলের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. ফরিদ আহমেদ, শেখ ফজলুল হক, জোবায়ের আহমেদ খান জবা, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, অধ্যা. আলমগীর কবীর, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, অধ্যা. মিজানুর রহমান, জাহাঙ্গীর হোসেন খান, শেখ নুর মোহাম্মদ, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, মনিরুজ্জামান খান খোকন, কাউন্সিলর লুৎফুন নেছা লুৎফা, কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ আলী, আবুল কাশেম মোল্লা, রনজিত কুমার ঘোষ, শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, এ্যাড. সেলিনা আক্তার পিয়া, শাহ মো. জাকিউর রহমান জাকির, শুভ, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, মো. ইমরান হোসেন, গাজী মোশাররফ হোসেন, শেখ এশারুল হক, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, মো. শিহাব উদ্দিন, গোপাল চন্দ্র সাহা, মো. জাকির হোসেন হাওলাদার, আব্দুর রহিম খান, টিএম আরিফ, নূরীনা রহমান বিউটি, নুরজাহান রুমি, ইদ্রিস আলী, নজরুল ইসলাম খোকন, খাদিজা কবীর তুলি, মেহজাবিন খান, এ্যাড. রোজী, কোহিনুর বেগম, রওশন আরা রিমা, হায়দার আলী, মাহামুদুল হাসান শাওন, রুম্মান আহমেদ, মাহমুদুর রহমান রাজেস সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভা শেষে নবী করীম (সঃ) এঁর উদ্দেশ্যে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
