সিনহা হত্যা: ২৯ ইলেকট্রনিক ডিভাইস র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর

0
196

খুলনাটাইমস: মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের সহকর্মী শিপ্রা রানী দেবনাথের ইলেকট্রনিকস ডিভাইস, টাকাসহ জব্দকৃত ২৯ প্রকার মালামাল অবশেষে র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করেছে রামু থানা পুলিশ। সিনহা হত্যাকাÐের পরদিন রামু উপজেলার নীলিমা রিসোর্ট থেকে এসব উপকরণ উদ্ধার করা হয়। এর আগে, গত বুধবার র‌্যাবের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে এ-সংক্রান্ত আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর বেঞ্চ। এরপর গত বৃহস্পতিবার পুলিশের পক্ষ থেকে বিচারিক হাকিম হেলাল উদ্দিনের আদালতে আবেদন করা হয় জব্দ করা ইলেকট্রনিকস ডিভাইসগুলো তাদের হেফাজতে রাখতে। কিন্তু আদালত পুলিশের আবেদন খারিজ করে বিচারক তামান্না ফারাহর আদেশটি বহাল রাখেন। সেই আদেশ অনুবলে ডিভাইসগুলো রাতেই গ্রহণ করতে যান তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তা। র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিমান চন্দ্র কর্মকারের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি প্রতিনিধি দল গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টায় রামু থানা থেকে এসব মালামাল গ্রহণ করেন। এ সময় রামু থানার ওসি আবুল খায়ের উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকল মালামাল র‌্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তাকে হস্তান্তর করতে রামু থানা পুলিশকে আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। রামুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আদালত নম্বর-১) আদালতের বিচারক মোহা. হেলাল উদ্দিন এ আদেশ দেন। র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিমান চন্দ্র কর্মকার জানিয়েছেন, ল্যাপটপ, মোবাইল, হার্ডডিস্ক, দুই লাখ টাকাসহ ২৯ প্রকার মালামাল আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর হয়েছে। এসব ডিভাইস ব্যবহৃত হয়েছে কিনা তা তদন্ত সাপেক্ষে জানানো হবে। এ নিয়ে কোনো তথ্য গোপন রাখা হবে না। গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয়। দুইজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত। ওই ঘটনায় ওসি প্রদীপসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা এবং পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষী প্রথমে কক্সবাজার জেলা কারাগার ও পরে আদালতের সাতদিনের রিমান্ড আদেশের প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব হেফাজতে রয়েছে। সর্বশেষ বাংলাদেশ আর্মড পুলিশের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে আটকের আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব। কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ প্রত্যেক আসামির সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।