শেফিল্ডের বিপক্ষে জিততে পারলো না ইউনাইটেড

0
235

খুলনাটাইমস স্পোর্টস : দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র সাত মিনিটের ব্যবধানে তিন গোল করে দারুনভাবে ম্যাচে ফিরে এসেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু তারপরেও প্রিমিয়ার লিগে রোববার ব্রামাল লেনে এ্যাওয়ে ম্যাচে শেষ পর্যন্ত স্বাগতিক শেফিল্ড ইউনাইটেডের সাথে ৩-৩ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে রেড ডেভিলসদের। নতুন উন্নীত দলটির বিপক্ষে পুরো ম্যাচেই কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়েছে ওলে গানার সুলশারকে। ১৯ মিনিটে জন ফ্লেক ও ৫২ মিনিটে লিস মোসেটের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল শেফিল্ড। দুই গোলে এগিয়ে থেকে জয়ের ক্ষুধা যেন আরো বেড়ে গিয়েছিল ক্রিস ওয়াইল্ডারের দলের। ম্যাচে তার প্রমাণও তারা একের পর এক দিয়ে গেছে। কিন্তু ৭২ মিনিটে ১৯ বছর বয়সী ব্রেন্ডন উইলিয়ামসের গোলে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে আসে ইউনাইটেড শিবিরে। সিনিয়র দলে হয়ে উইলিয়ামসের এটাই প্রথম গোল। ১৮ বছর বয়সী বদলী খেলোয়াড় মেসন গ্রীনউড ৭৭ মিনিটে সমতা ফেরানোর চার দুই মিনিট পর মার্কোস রাশফোর্ড ইউনাইটেডকে এগিয়ে দেন। কিন্তু ম্যাচের নাটকীয়তা তখনো বাকি। ৯০ মিনিটে অলিভার ম্যাকবার্নি বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে জোড়ালো শটে ডেভিড ডি গিয়াকে পরাস্ত করলে শেফিল্ডের এক পয়েন্ট নিশ্চিত হয়। ভিএআর প্রযুক্তির সহায়তায় গোলটি শেষ পর্যন্ত উপহার পায় শেফিল্ড। এই ড্রয়ে ১৩ ম্যাচে ১৭ পয়েন্টসহ লিগ টেবিলের নবম স্থানে রয়েছে ইউনাইটেড। চতুর্থ স্থানে থাকা চেলসির তুলনায় তাদের পয়েন্টের ব্যবধান ৯। এক পয়েন্ট এগিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে শেফিল্ড। ম্যাচ শেষে সুলশার বলেন, ‘যখন কোন দল ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকে তখন অল-আউট ফুটবল খেলা ছাড়া উপায় থাকেনা। আজকের তিনটি গোলের গোলদাতার গড় বয়স ২০ বছরেরও কম, যা নিয়ে আমরা গর্ববোধ করতেই পারি। এটা আমাদের তরুনদের জন্য দারুন একটি অভিজ্ঞতা। কারণ এই ধরনের মাঠে এভাবে ফিরে আসাটা মোটেই সহজ নয়। এটা আমার কাছে একটি মিশ্র অভিজ্ঞতা। আমাদের এতে খুশী হলে চলবে না। বেশীরভাগ সময়ই বল ওদের নিয়ন্ত্রনে ছিল। তারপরেও আমরা নিজেদের যোগ্যতার প্রমান দিয়েছি।’ ম্যাচের শুরুতে গোলরক্ষক ডি গিয়া দুর্দান্ত দুটি সেভ করে শেফিল্ডকে এগিয়ে যেতে দেয়নি। সুলশারের দলও প্রথমার্ধে বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করেছে। এর মধ্যে উল্লেখয্যো হলো উইলিয়ামসের দুটি ও ফিল জোনসের দুটি ভুল। এবারের মৌসুমে এই প্রথম মূল একাদশে খেলতে নেমেছিলেন জোনস। মধ্যমাঠে ফ্রেড ও আন্দ্রেস পেরেইরা কোন নিয়ন্ত্রনই নিতে পারেননি। ইউনাইটেড ফরোয়ার্ডরা প্রথমার্ধে পোস্ট মাত্র একটি শট করতে পেরেছে। বিরতির পর জোনসের পরিবর্তে জেসি লিনগার্ড খেলতে নামেন। কিন্তু তারপরেও ৫২ মিনিটে শেফিল্ড তাদের ব্যবধ্যান দ্বিগুণ করে। এরপর প্রায় পুরোটা সময়ই বলের নিয়ন্ত্রন ছিল শেফিল্ডের কাছে। ৭২ মিনিটে ড্যানিয়েল জেমেসর ক্রস থেকে উইলিয়ামস হাফ ভলিতে এক গোল পরিশোধ করেন। পেরেইরার স্থানে ৭৩ মিনিটে মাঠে নামেন গ্রীনউড। রাশফোর্ডের ক্রস থেকে ৭৭ মিনিটে গ্রীনউড ইউনাইটেডের হয়ে সমতা ফেরান। দুই মিনিট পর রাশফোর্ডের গোলে ইউনাইটেড যখন জয়ের ক্ষণ গুণছিল ঠিক তখনই শেষ মিনিটে ম্যাকব্রুনির স্ট্রাইক আর রুখতে পারেননি ডি গিয়া।