শিক্ষার্থীকে নিয়ম-শৃঙ্খলা শেখাতে হলে আগে শিক্ষককে নিয়মানুবর্তী হতে হয়: উপাচার্য

0
341

খবর বিজ্ঞপ্তি:
মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবনের ইংরেজি ডিসিপ্লিনের স্মার্ট ক্লাস র”মে সেন্টার অব এক্সিলেন্স ইন টিচিং এন্ড লার্নিং (সিইটিএল) এর উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে যোগদানকারী নবীন শিক্ষকদের শিক্ষাদান বিষয়ে ইন্ডাকশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সিইটিএল এর পরিচালক প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। তিনি বলেন শিক্ষকতা মহান পেশা। এ পেশায় নিবেদিত না হলে, বিষয়ের প্রতি নিবিষ্টতা না থাকলে, একাগ্র না হলে সেই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ভালো শিক্ষা দিতে পারেন না। এ জন্য অন্য সকল পেশার চেয়ে শিক্ষকতা ভিন্নতর পেশা। আদর্শ নাগরিক, বিশ্বমানের দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হলে শিক্ষার্থীকে যথাযথভাবে শেখার সুযোগ করে দিতে হবে। এখানে একজন শিক্ষকের ভূমিকা অতীব গুর”ত্বপূর্ণ। ক্লাসে শিক্ষার্থীদের বোধগম্য না হওয়া পর্যন্ত সে বিষয়ে তাদেরকে বোঝাবার যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। শিক্ষার্থীকে নিয়ম-শৃঙ্খলা শেখাতে হলে আগে শিক্ষককে নিয়মানুবর্তী হতে হয়। কারণ, শিক্ষার্থীরা শিক্ষককে অনুসরণ করে, তাঁর কাছ থেকেই অনেক কিছুই শেখে যা তার পরবর্তী জীবনে চর্চা করে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কলেজের শিক্ষকের মধ্যে তফাৎ উল্লেখ করে বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের শিক্ষাদানের পাশাপাশি গবেষণা করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু কলেজে সেটা নেই। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা হলো অন্যতম মুখ্য বিষয়। গবেষণা ছাড়া ভালো শিক্ষক হওয়া যায় না, দেশ-সমাজ ও রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের গবেষণায় আগ্রহী হতে হবে। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নিতে নবীন শিক্ষকদের এখন থেকেই শিক্ষাদানের পাশাপাশি গবেষণায় ব্রত হওয়ার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিইটিএল এর পারিচালক প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিইটিএল এর উপ-পরিচালক ড. জগদীশ চন্দ্র জোয়ার্দার। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের ৩১ জন নবীন শিক্ষক এই ইন্ডাকশন অনুষ্ঠানে অংশ নেন। শিক্ষাদান ও শিখন পদ্ধতি, মূল্যবোধ এবং গবেষণা পদ্ধতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে নবীন শিক্ষকদের এ অনুষ্ঠানে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়।