রায়হান হত্যা: ঘটনা¯’লে পিবিআিই, কবর থেকে তোলা হবে মরদেহ

0
171

টাইমস ডেস্ক:
সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান উদ্দিন (৩০) হত্যা মামলা পিবিআইতে ¯’ানান্তর করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশক্রমে মামলাটির দায়িত্ব পাওয়ার পর ঘটনা¯’ল পরিদর্শন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গতকাল বুধবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক মহিদুল ইসলামসহ একটি টিম ঘটনা¯’ল পরিদর্শন করেছেন। তারা ঘটনা¯’ল বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনই কথা বলছেন না মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম। এদিকে নিহত রায়হানের মরদেহ পুনঃময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে তোলার তুলতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মরদেহ কবর থেকে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ সূত্র। সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) জ্যোর্তিময় সরকার বলেন, মরদেহ কবর থেকে তোলার আবেদনের বিষয়টি জানতে পেরেছি। গত রোববার রায়হান উদ্দিন নিহত হন। রায়হান উদ্দিন সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার ম”ত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তার তিন মাসের এক মেয়ে রয়েছে। তিনি নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ করতেন। পুলিশের দাবি, ছিনতাইয়ের দায়ে নগরীর কাষ্টঘর এলাকায় গণপিটুনিতে রায়হান মারা যান। কিš’ নিহতের পরিবার ও স্বজনদের অভিযোগ, পুলিশের নির্যাতনে রায়হান নিহত হন। মারা যাওয়ার পর রায়হানের শরীরে বিভিন্ন ¯’ানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। তার হাতের নখও ওপড়ানো ছিল। এ ঘটনার পর পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন করে রায়হানকে হত্যার অভিযোগ এনে নিহতের স্ত্রী কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সোমবার এ অভিযোগে পুলিশের ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটির সুপারিশে ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবরসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন- বন্দরবাজার ফাঁড়ির কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটু চন্দ্র দাস। প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেন।