রামপালে সাংবাদিক নামধারী চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষার দাবীতে বিক্ষোভ

0
434

বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের রামপালে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ ও সাংবাদিক নামধারী চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষার দাবীতে রামপালে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রামপাল থানার মোড়ে উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করা হয়। ছাত্রলীগ আয়োজিত এ কর্মসূচীতে অত্যাচরের স্বীকার এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার মানুষ অংশ নেয়। সমাবেশ শেষে বিক্ষুব্ধ ছাত্র ও জনতা এক সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার কুমার পাল ও উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবরে একটি স্মারক লিপি প্রদান করে।
স্মারক লিপি সূত্রে জানা গেছে যে, এলাকার চিহ্নিত ৮/১০ জন বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করার সুবাদে সাংবাদিক পরিচয়ে এলাকার মানুষকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে আসছে দির্ঘ দিন।
এরা সকলে সুবিধা মত বিভিন্ন পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলের পরিয় দিলেও তারা অনেকে এলাকায় বখাটে বলে পরিচিত। এরা সংঘবদ্ধ ভাবে সাধারন লোকজনদের সংবাদ প্রকাশের ভয় দিয়ে টাকা দাবী করে । টাকা না দিলে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে। স্মারক লিপিতে উল্লেখ রয়েছে এর মধ্যে কোন কোন সাংবাদিক সুন্দরবনের জলদস্যু ও অস্ত্র মামলায় সাজা প্রাপ্ত আসামী। ওই সাংাদিকের বিরুদ্ধে মল্লিকে বেড় নিবাসী লাকি বেগমের দায়ের কৃত একটি চাঁদাবাজী মামলা বাগেরহাটের বিজ্ঞ আদালতে একটি চলমান রয়েছে যার নং এসসি ০৯/১১।
গত ২৪ এপ্রিল ,২০১৮ তারিখে র‌্যাব-৬ বরাবর এদের বিরুদ্ধে রামপাল সদর ইউনিয়নের শ্রীফলতলা এলাকার বিামন কুন্ডু নামে জনৈক ব্যাক্তি, ১০/১১/২০১৭ হুড়কা এলাকার সুনিল মন্ডলের কাছে চাঁদা চাওয়ায় অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে সর্বশেষ ৩০/৪/২০১৮ ইং তারিখে আরো একটি অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত ভাবে দায়ের করে। এরা এলাকার ব্যবসায়ী ও নিরীহ মানুষের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা আদায় করে থাকে। প্রতিটি অভিযোগের ঘটনায় দৈনিক দেশ সংযোগ ও দৈনিক পূর্বাঞ্চলসহ বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এই সকল অনৈতিক কাজের প্রতিবাদে ছাত্র জনতা এক হয়ে এই বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে।
রামপাল উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সেখ সাদি’র নেতৃত্বে আয়োজিত এ বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন থানা ছাত্রলীগের সহসভপতি কল্লোল বিশ্বাস,মোঃ গোলাম ইয়াছিন রাজু, ছাত্রলীগ নেতা মোঃ মানিক হাসান, মোঃ নেওয়াজ শরীফ, মোঃ হেলাল সেখ, আয়াজ শিকারী প্রমুখ।
বক্তব্যে তারা বলেন যে, সাংবাদিক রা জাতীর বিবেক, সমাজের দর্পন, তারা কি ভাবে চিহ্নিত হয়ে চাঁদাবাজী করে আর এই সব চাদাবাজদের হাতে পত্রিকা কি ভাবে সাংবাদিকের কার্ড তুলে দেয ? বক্তারা বলেন যে, যদি সংশ্লিষ্ট পত্রিকা গুলো রামপালে এসে সত্য ঘটনা তদন্ত করুক এবং সত্যতার আলোকে সিদ্ধান্ত নিক। তা না হলে সংশ্লিষ্ট পত্রিকা গুলো রামপালের জনগন বর্জন করবে বলে ও বক্তারা জানান। তারা আরো বলেন যে, চাঁদাবাজ নামধারী ঐ সমস্ত লোকেরা সাংবাদিকতা ও পত্রিকা গুলোকে কলংক করছে। বক্তারা আশা প্রকাশ করে বলেন যে, অতি সত্তর পত্রিকা কতৃপক্ষ তদন্ত করে চাঁদাবাজ নামধারী সাংবাদিকদের হাত থেকে মুক্ত করে রামপালের সাধারন মানুষদের পাশে দাড়াবে। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার কুমার পাল ও উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন স্মারক লিপি পাওয়ার সত্যতা স্বীকার কওে বলেন যে, এ গুলোকে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে আজকেই পৌছে দেয়া হবে