নিজস্ব প্রতিবেদক
পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম এর সভাপতিত্বে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ পর্যালোচনা সভা বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকাল ৩টায় কেএমপি’র সদর দপ্তরস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
অপরাধ পর্যালোচনা সভার শুরুতে কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার উপস্থিত সকলকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে সভার কার্যক্রম শুরু করেন। পুলিশ কমিশনার তার বক্তব্যে জঙ্গী ও সন্ত্রাস, মাদক, মানব পাচার, চাঁদাবাজি প্রতিহত সহ হত্যা, ডাকাতি, দস্যুতা, গণধর্ষণ, অপহরণসহ গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর মামলাসমূহের নিবিড়ভাবে তদন্ত করতে সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেন। যে কোন ধরণের ফৌজদারি আপরাধ সংঘটন ও অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে সরকারি দায়িত্ব পালন করতে সংশ্লিষ্ট অফিসারদেরকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেন। সকল পদমর্যাদার অফিসার-ফোর্সকে ডিসিপ্লিন মেনে চলতে হবে এবং কারো অনাকাঙ্খিত চলাফেরার কারণে যেন পুলিশ ডিপার্টমেন্টের বদনাম না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে নির্দেশনা দেন। কেএমপিকে সবাই মিলে একটি চমৎকার গতিশীল ইউনিটে পরিণত করতে তৎপর আছেন মর্মে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিনি বক্তব্যে বলেন, “খুলনা মহানগরী এলাকায় মাদক সংক্রান্ত কোন অভিযোগ শুনতে চাই না। এজন্য মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের তালিকা অনুযায়ী মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী, জুয়াড়ি, দেহ ব্যবসায়ী ও ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলমান থাকবে। কেএমপি’র আওতাধীন এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটলে দ্রæততার সাথে মামলা রুজু করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে চোরাই মালামাল উদ্ধার করতে হবে। চুরি বন্ধে টহল পুলিশ নাইট গার্ডদের সতর্ক করবে পাশাপাশি থানা এলাকায় টহল ও মোবাইল ডিউটি কালীন সময়ে লাইট ও বাঁশি ব্যবহার করতে হবে। প্রত্যেকে অভিযানের ক্ষেত্রে সর্তক থেকে বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করতে হবে। কেএমপি’র যে কোনো থানায় আগত সেবা প্রত্যাশীদের কাঙ্খিত সেবা প্রদান করতে হবে। সকল থানার রুজুকৃত চাঞ্চল্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ মামলা সমূহ দ্রæততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে এবং যে কোন অপরাধ মোকবেলায় সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে।”
অত:পর কেএমপি’র পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) সঞ্জয় কুমার দাশের দীর্ঘ চাকুরী জীবন শেষে অবসরে যাওয়ায় পুলিশ কমিশনার তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা, ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী প্রদান করেন। একইসাথে তার অবসরকালীন সময়ে সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনাসহ সুস্থ ও সুন্দরভাবে জীবন অতিবাহিত করতে পারে সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, আড়ংঘাটা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) তপন কুমার সিংহ; গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক কাজী কামাল হোসেন; পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) মোঃ আশিকুর রহমান; খুলনা থানার এসআই(নিঃ) বোধন চন্দ্র বিশ্বাস; এসআই(নিঃ) সুকান্ত দাশ; এসআই(নিঃ) উজ্জল সরকার; এসআই(নিঃ) মোঃ রাকিবুল ইসলাম; এসআই(নিঃ) মোঃ রিকাবুল ইসলাম; সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই(নিঃ) আশরাফুল আলম; এসআই(নিঃ) মোঃ আল আমিন; এসআই(নিঃ) মোঃ রুবেল মোহান্ত; লবণচরা থানার এসআই(নিঃ) প্রদীপ বৈদ্য; এসআই(নিঃ) মোঃ আঃ রহিম; হরিণটানা থানার এসআই(নিঃ) আসমা খাতুন; এসআই(নিঃ) মোঃ ফরহাদ হোসাইন; এসআই(নিঃ) মোঃ মাহফুজ আলী; খালিশপুর থানার এসআই(নিঃ) মোঃ রিয়াজ রহমান; এসআই(নিঃ) অনুকূল চন্দ্র ঘোষ; দৌলতপুর থানার এসআই(নিঃ) মোঃ মিকাইল হোসেন; এসআই(নিঃ) অনাদি বিশ্বাস; আড়ংঘাটা থানার এসআই(নিঃ) মোঃ লুৎফুল হায়দার; এসআই(নিঃ) প্রনয় কুমার; খানাজাহান আলী থানার এসআই (নিঃ) কামরুল হুদা নাঈম; এসআই (নিঃ)অয়ন তীর্থ পাইক; এসআই(নিঃ) মোঃ আলমগীর হোসেন; সিটিএসবি এসআই(নিঃ) মোঃ রবিউল; প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই(নিঃ) শেখ কামাল হোসেন; গোয়েন্দা বিভাগের এসআই(নিঃ) মোঃ সেলিম হোসেন; এসআই(নিঃ) মোঃ সিরাজুল ইসলাম এসআই(নিঃ) মোঃ মইজুল ইসলাম ইমন; ইএন্ডডি শাখার এসআই (নিঃ) সৈয়দ মাহামুদুল হাসান; কেন্দ্রীয় পোশাক ভান্ডার এসআই(নিঃ) রেজাউল হক; এসএএফ শাখার এসআই(সঃ) মোঃ একলাজ; ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট সানজিদা ইসলাম; টিএসআই মোঃ রেজাউল হক; টিএসআই মোঃ ওবায়দুল হক; টিএসআই মোঃ রেজাউল করিমসদর বিভাগ হতে প্রসিকিউশন বিভাগে সংযুক্ত (বাস্তব প্রশিক্ষণ)পিএসআই(নিঃ) মরিয়ম খাতুন; খুলনা থানা এএসআই(নিঃ)/ আবু সুফিয়ান মোল্লা খালিশপুর থানার এএসআই (নিঃ) মোঃ কামাল হোসেন; দৌলতপুর থানার এএসআই (নিঃ) মোঃ এহসানুল হক; খানাজাহান আলী থানার এএসআই (নিঃ) তুহিন মিয়া; গোয়েন্দা বিভাগের এএসআই (নিঃ) মোঃ জাহিদুর রহমান; সিটিএসবি’র এএসআই(নিঃ) মোঃ হারুন অর রশিদ; প্রধান সহকারী শেখ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান; কম্পিউটার অপারেটর এস এম মনজুরুল ইসলাম; প্রশাসন শাখার অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আনোয়ারা খাতুন; প্রশাসন শাখার অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক সৈয়দা সাবিহা আরজু; হিসাব শাখার হিসাব রক্ষক শেখ আয়ুব আলী; মোটরযান শাখার অফিস সহকারী সঞ্জীব কুমার আঢ্য; অফিস সহকারী মোঃ শাহীদুজ্জামান; ইসলাম কনস্টেবল মোঃ শাহীনুর রহমান; অপরাধ শাখার কনস্টেবল দেবাশীষ দাশ; নারী কনস্টেবল লিজা আক্তার; মিডিয়া অ্যান্ড সিপি শাখার কনস্টেবল বাপ্পি লাল শর্মা; কেন্দ্রীয় রিজার্ভ অফিস কনস্টেবল বিশ্বজিৎ দে; কনস্টেবল বিধান কুমার বিশ্বাস; কনস্টেবল মোঃ সুমন মাহমুদ; কনস্টেবল মোঃ মোসাব্বির হোসেন; কনস্টেবল মোঃ দিদারুল ইসলাম; লাইনওআর নারী কনস্টেবল হারিপা খানম; আরসিডি নায়েক মোঃ কামরুল হাসান; আরসিডি কনস্টেবল মোঃ জাহিদ হাসান; মোটরযান শাখার কনস্টেবল মোঃ রুবেল খান; কনস্টেবল শেখ ফাহিম হোসেন; নারী কনস্টেবল ফারজানা আক্তার মিম; হিসাব শাখার কনস্টেবল শেখ শরিফুল ইসলাম; বিভাগীয় ভান্ডার কনস্টেবল মোঃ তারিকুল ইসলাম; কেন্দ্রীয় অস্ত্রাগার কনস্টেবল মোঃ মাছুম; রেশন স্টোর কনস্টেবল মোহাঃ সাহাজান আলী; লাইনওআর কনস্টেবল স্বর্ণেন্দু হালদার’দেরকে সরকারি দায়িত্ব সঠিকভাবে সম্পাদনের জন্য তাদেরকে ক্রেস্ট, নগদ অর্থ ও সার্টিফিকেট প্রদান করেন।
এ সময় কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডও) সরদার রকিবুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা এবং অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল) মোছাঃ তাসলিমা খাতুন-সহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ, পুরষ্কারপ্রাপ্ত অফিসারবৃন্দ ও ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।
