রাজনীতিবিদ ও মানবিকতার জন্য বিশ্ববাসীর কাছে ‘প্রণব মুখার্জি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

0
157

খবর বিজ্ঞপ্তি:
পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির রাজনীতিবিদ ও মানবিকতার জন্য বিশ্ববাসীর কাছে ‘প্রণব মুখার্জি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও মানুষের প্রতি সেবা সকল সীমানার রাজনৈতিক অঙ্গনে তাকে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। প্রণব মুখার্জী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ভারতের তদানীন্তন তরুণ রাজনীতিবিদ প্রণব মুখার্জী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন লাভে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে বিশ্বব্যাপী প্রচার অভিযান চালান। ভারতের রাজ্য সভায় প্রণব মুখার্জীর প্রথম প্রস্তাব উত্থাপনের ফলেই সেদেশের সরকার ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন প্রবাসী সরকারকে স্বীকৃতি দেয়। তিনি সামাজিক অবস্থান অথবা জাতীয়তা দেখে কখনও মানুষের সেবা করেননি। তিনি মানবতার সেবা করেছেন। তাই তিনি ভৌগলিক সীমানার বাইরের দেশগুলোতেও চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার এই অবদানের জন্য ২০১৩ সালের ৫ মার্চ তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার “বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা” পান। গুণীজন স্মৃতি পরিষদের আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় গুণীজন স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে বিএমএ মিলনায়তনের “বাংলঅদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ভারতের প্রাক্তণ রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি” এর স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সংঙ্গীতের মধ্যেদিয়ে অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন গুণীজন স্মৃতি পরিষদের উপদেষ্ঠা ও বিএমএ’র সভাপতি ডা: শেখ বাহারুল আলম। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক সাংবাদিক মহেন্দ্র নাথ সেন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি গোপী কিষন মুন্ধড়া, ডা: শেখ সাদিয়া মনোয়ারা ঊষা, খুলনা উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান শরীফ শফিকুল হামিদ চন্দন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক হুমায়ুন কবির ববি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডু, সাবেক ছাত্রনেতা অসীম আনন্দ দাস, ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগর সভাপতি শেখ মফিদুল ইসলাম, জেলা ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার রায়, সিপিবি নেতা মিজানুর রহমান বাবু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক এফ এম ইকবাল, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা বিজয় কুমার ঘোষ,রতন মিত্র, জেপি’র সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ডা: এম এন আলম সিদ্দিকী, ক্যাপ্টেন (অব:) ডি, কে, হালদার, আমরা খুলনাবাসীর সাধারন সম্পাদক এস এম মাহাবুবুর রহমান খোকন, নিরাপদ সড়ক চাই এর সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন ,সাংস্কৃতিক কর্মি জেসমিন জামান, অজন্তা দাস, এ্যাড: দেবানন্দ হুই চৌধুরী, কৃষ্ণা দাস, বাংলঅদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কোষাধ্যক্ষ রতন কুমার নাথ, বিশ্বজিৎ দে মিঠু, ভবেশ সাহা, সাধারণ সম্পাদক এস এম ফারুখ-উল ইসলাম, সঞ্জয় কুমার মল্লিক, শেখ আব্দুল হালিম, সাংবাদিক রাশিদুল আহসান বাবলু, মো:ইমদাদ আলী,এল কে টফি, এম মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ভিন দেশের একজন রাজনীতিবিদ হয়েও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে যে কয়েকজন ব্যক্তির সবচেয়ে বেশি প্রভাব ছিল, মি. মুখার্জি ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম- যে বিষয়টি তাঁর নিজের লেখাতেই উঠে এসেছিল।