শরণখোলায় আসামীদের বাড়ীঘরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ

0
169

শরণখোলা প্রতিনিধি:
শরণখোলায় একটি হত্যা মামলাকে পুঁজি করে বাদীপক্ষের লোকজন আসামীদের নিরিহ স্বজনদের অবরুদ্ধ করে রাখাসহ দোকান ঘর তালাবদ্ধ, ঘেরের মাছ, বাড়ির মালামাল, খড়ের গাদা লুট করে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চরম ভীতির মধ্যে দিন কাটছে পুরুষশূণ্য আসামী পরিবারের নারী ও শিশুদের।
শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের পূর্ব ধানসাগর গ্রামে গিয়ে ভূক্তভোগীদের অভিযোগে জানা যায়, গত ২৫ আগস্ট সন্ধ্যায় উপজেলা পূর্ব ধানসাগর গ্রামে একটি ছাগলের গায়ে কাঁদা মাখানোর জেরে চাচাতো ভাইদের সঙ্গে সংঘর্ষে জাকির জমাদ্দার (৫৩) মারা যান। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী শিউলি বেগম বাদী হয়ে নিহতের তিন চাচাতো ভাই মন্টু জমাদ্দার, সেন্টু জমাদ্দার, সেলিম জমাদ্দার, মন্টুর স্ত্রী শিল্পী বেগম, সেন্টুর স্ত্রী মাসুমা বেগম, মন্টুর শ্যালক সোহেল হাওলাদার, মিলন হাওলাদারসহ ৭ জনকে আসামী করে ২৬ আগস্ট শরণখোলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় শিল্পী বেগম ও মাসুমা বেগম জেলহাজতে রয়েছে। অন্য আসামীরা পলাতক। আসামী সেলিম জমাদ্দারের স্ত্রী নাছিমা বেগম জানান, মামলার পরে বাদী পক্ষের লোকরা আসামীদের সবার ঘরে তালা ঝুলিয়েছে। সেলিম জমাদ্দারের বাড়ির সামনে তার মুদি মনোহরী দোকানও তালাবদ্ধ করে দিয়েছে। তারা গরুর খাবার সংগ্রহে ঘর থেকে বের হতে দিচ্ছেনা।
মামলার বাদী শিউলী বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্বামী কবরে বইয়া পঁচতে আছে। সেই জন্যে সেলিমের দোকানে আমি নিজে তালা লাগাইয়া দিছি। যাতে আমার স্বামীর মতো দোকানের মালও পঁচে। আমার গরুরে খাওয়াইতে আসামী মন্টুর গাদির কুডা (খড়ের গাদা) নিছি। আর কিছ্ ুনিই নাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আলতাফ হোসেন বলেন, আমি চাই হত্যার বিচার হোক। কিন্তু এখানে আসামীদের নিরিহ লোকজনকে হয়রানী করা হচ্ছে। নিহতের ভাই হুমায়ুন ও তার ছেলে-ভাইপোরা আসামীদের ঘেরের মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শরণখোলার থানার ওসি (তদন্ত) মফিজুর রহমান শেখ লুটপাটের অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, এব্যাপারে আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।