মায়া সান্তোস অসৎকর্মী ছিলেন : আরসিবিসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ

0
416

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের দণ্ডিত সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা মায়া সান্তোস দেগুইতোকে ‘অসৎকর্মী’ বলে আখ্যা দিয়ে ম্যানিলাভিত্তিক রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন (আরসিবিসি)। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বৃহস্পতিবার ফিলিপাইনের আঞ্চলিক আদালত ৮টি অভিযোগে দেগিতোকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রতিটি ধারায় ৪ থেকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। সেই সঙ্গে ১০ কোটি ৯০ লাখ ডলার জরিমানা করা হয়েছে তাকে।

আদালতের রায়ের পর মায়া সান্তোসকে ‘অসৎকর্মী’ আখ্যা দিয়ে আরসিবিসির মুখপাত্র থিয়া দেইপ এক বিবৃতিতে বলেছেন, মায়া সান্তোসের কারণে ব্যাংকটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আদালতের রায়কে সংগতিপূর্ণ মনে করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন মায়া সান্তোস।তার আইনজীবীরা জানান, প্রয়োজন হলে এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি।

এর আগে ২০১৬ সালে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থ চুরির ঘটনা ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় আরসিবিসিকে ১৯ দশমিক ১৭ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করে। আরসিবিসির সাবেক কোষাধাক্ষ্য এবং যে শাখা থেকে রিজার্ভের ওই টাকা উত্তোলন করা হয়েছিল সেখানকার পাঁচ কর্মকর্তা অর্থপাচারের মামলায় অভিযুক্ত করা হয়।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি যায়। নিউইয়র্ক ফেডে থাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব থেকে চুরি যাওয়া ওই অর্থ যায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) মাকাতি সিটি শাখায়।

বিশ্বের অন্যতম বড় এ সাইবার চুরির ঘটনায় অপরাধীরা সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে প্রায় ১০০ কোটি ডলার স্থানান্তরের নির্দেশনা দিয়েছিল। নিউইয়র্ক ফেড এসব নির্দেশনার অধিকাংশই বাতিল করলেও পাঁচটি নির্দেশনার বিপরীতে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার স্থানান্তর হয়ে যায়। এর মধ্যে ২ কোটি ডলার পরে শ্রীলংকা থেকে ফেরত আসে। আর বাকি অর্থ যায় ফিলিপাইনে। ফিলিপাইনে প্রবেশকৃত ওই অর্থ খুব দ্রুততার সঙ্গে উত্তোলন করে পাঠিয়ে দেয়া হয় বিভিন্ন ক্যাসিনোয়।