বিজ্ঞপ্তি: বহুল বিতর্কিত ও সারা বিশ্বে প্রত্যাখ্যাত ইভিএম মেশিন আগামী জাতীয় নির্বাচনে ব্যবহার না করার দাবি জানিয়েছে খুলনা মহানগর বিএনপি। দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করার পরিবর্তে শাসক দলকে সুবিধা দিতেই নির্বাচন কমিশন ইভিএম নিয়ে মাতামাতি শুরু করেছে। আগামী ২৭ অক্টোবর খুলনায় ইসি কর্তৃক ইভিএম মেলা আয়োজনকে দুরভিসন্ধিমূলক আখ্যায়িত করে তা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। মামলা দিয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ও তল্লাশি চালিয়ে জাতীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে হয়রানি ও অসম্মান করার প্রতিবাদে এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে স্মারকলিপি দেবে মহানগর বিএনপি। একই দাবিতে শুক্রবার বেলা ১১ টায় দলীয় কার্যালয়ে প্রেস কনফারেন্স করবে দলটি। সেই সাথে খুব শিগগিরই বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে ইভিএম’র জালিয়াতির তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করে খুলনায় একটি সেমিনার করা হবে।
মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি, উপদেষ্টা, যুগ্ম সম্পাদক ও সম্পাদকমন্ডলীর এক জরুরী সভায় এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বুধবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা থেকে অবিলম্বে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলায় বন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানানো হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানানো হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, শাহজালাল বাবলু, স ম আব্দুর রহমান, ফখরুল আলম, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মেহেদী হাসান দীপু, মহিবুজ্জামান কচি, শাহিনুল ইসলাম পাখী, আজিজুল হাসান দুলু, সাদিকুর রহমান সবুজ, ইকবাল হোসেন খোকন, জালু মিয়া, এহতেশামুল হক শাওন, মাসুদ পারভেজ বাবু, কে এম হুমায়ুন কবির, একরামুল হক হেলঅল, হাসানুর রশিদ মিরাজ, শামসুজ্জামান চঞ্চল, মুজিবর রহমান ফয়েজ, রবিউল ইসলাম রবি, আশরাফ হোসেন, নাজিরউদ্দিন আহমেদ নান্নু, নিয়াজ আহমেদ তুিহন, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
