তালা প্রতিনিধি: ৭১’র রনাঙ্গনের বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিরাজুল ইসলাম (৬৫)। তালা উপজেলার সদর ইউনিয়নের রহিমাবাদ গ্রামের মৃত ইনতাজ সরদারের ছেলে। তিনি মরনব্যধি কান্সারে আক্রান্ত। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সরকারী চিকিৎসার সুযোগ হয়নি তার। অর্থাভাবে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধা হাসপাতালের বেডে শুয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে এখন ।
এ প্রতিবেদকের সাথে তালা হাসপাতালে কথা হয় মরনব্যধি কান্সারে আক্রান্ত বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিরাজুল ইসলামের। হাসপাতালের বেডে শুয়ে ৭১’র রনাঙ্গনের বীরমুক্তিযোদ্ধা শুধু ফ্যাল ফ্যাল দৃষ্টিতে দু-একটি কথা বলেই কেঁদে বুক ভাসাচ্ছেন ।তিনি বলেন, ৭১’এ সাব-সেক্টর কমান্ডার এম এ জলিল এবং যুদ্ধকালীন কমান্ডার মর্তুজা’র নেতৃত্বে প্রশিক্ষন শেষে দেশে ফিরে বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ করেছেন।মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকা ভুক্ত হয়েছেন। যার গেজেট নং ১৮৩০।
তিনি এপ্রতিবেদককে আরো বলেন, বিগত ৫/৬ মাস ধরে পেটের সম্স্যা নিয়ে ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি হয়েছিলেন,পরে ক্যান্সার হাসপাতালে ভর্তি হন । কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা তো দুরের কথা, কোথাও সাধারণ রোগী হিসাবেও স্থান হয়নি তার। সহায়সম্বল যা ছিল তা ব্যায় করে বিভিন্ন পরীক্ষা- নিরীক্ষা করেই আজ বিনা চিকিৎসায় বাড়ী ফিরে এসেছি। তিনি দুঃখ করে আরও বলেন, আমার ছোটা-ছুটি করার মত কেউ নেই! আজ শান্তনা দেওয়ার মত তার পাশে কেউ নেই সহযোদ্ধারাও আজ কাছে ঘেষতে চাইছে না। হতাশায় দিন দিন আরও অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন তিনি।একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে বেঁচে থাকার আকুতি জানিয়ে চিকিৎসার জন্য আবেদন জানিয়েছেন বিভিন্ন দপ্তরে । কিন্তুকোন দপ্তর থেকে আজও কোন সাহায্য পাইনি বলেও জানান তিনি।
তালা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন জোয়ার্দার জানান, সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে একটা আবেদন করা হয়েছে।তবে তদ্ববির না করলে দ্রুত পাওয়া কঠিন।
এ ব্যাপারে তালা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাজিব সরদার জানান, উনি ক্যান্সারে আক্রান্ত, আমাদের এখানে এর কোন চিকিৎসা নেই, তার পরেও আমরা বীরমুক্তিযোদ্ধাকে সাধ্যমত সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
