পুলিশী হামলায় বাম জোটের মিছিল ছত্রভঙ্গ

0
243

খবর বিজ্ঞপ্তি:
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, রাষ্ট্রীয় হেফাজতে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্ত, গ্রেফতারকৃত ৭ ছাত্রনেতা ও শ্রমিকনেতা রুহুল আমিনের অবিলম্বে নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট খুলনা জেলা শাখার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার পুলিশ প্রশাসনের অবহিতের মাধ্যমে বিকেল ৫টায় ঘোষিত ও বিক্ষোভ মিছিল পুলিশী হামলা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পুলিশ বাম জোটের ব্যানার কেড়ে নেয়। তাৎক্ষণিকভাবে নেতৃবৃন্দ শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল ও সমাবেশে এহেন ন্যাক্কারজনক ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর দায়ভার সরকারকে নিতে হবে। পুলিশী হেফাজতে লেখকের মৃত্যুর তদন্ত ও বিচার সরকারকেই করতে হবে। আমরা তাঁর মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই। তদন্তপূর্বক বিচার না হলে সারাদেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, এই সরকার জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। জনগণের সম্মতি ছাড়া সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে আছে।ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকার অর্থ হচ্ছে জনগণকে অপমান করা। নিজেদেরমসনদকে নিরাপদ করার জন্য ফ্যাসিবাদী সরকারের আগ্রাসী থাবা থেকে প্রতিবাদী নাগরিক কেউই রেহাই পাচ্ছে না। সাংবাদিক-লেখক-বøগার-শিল্পী-কার্টুনিস্ট এই আইনের খড়গহস্তের শিকার হচ্ছেন।এই সরকার সারাদেশে লুটপাট জারি রেখে আমাদেরকে উন্নয়নের কলা দেখাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সংবিধান রক্ষার আওয়াজ তুলে সরকার ভিন্নমত-সমালোচনা ও গণমাধ্যম দমনের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রবর্তন করেছে। সরকারের দুর্নীতি-লুটপাটের সমালোচনা করলেই তারা জনগণের বাকস্বাধীনতা ও সংবাদকর্মীদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, মুশতাকের হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়Ñএ সরকার জনগণের সরকার নয়। এই সরকার হচ্ছে খুনী-ধর্ষক-সন্ত্রাসী ও লুটপাটকারীদের। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে ব্যবহার করে এরাই প্রভ‚ত অর্থ ও সম্পদের মালিক হচ্ছেন, ব্যাংকের মালিক হচ্ছেন। হাজার হাজার কোটি টাকা সুরক্ষিত রাখার জন্যও কেউ কেউ পাহারা দিচ্ছেন। রাষ্ট্রের স্বাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে জনগণকে নিয়ন্ত্রণের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ সময়ে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেনÑবাম গণতান্ত্রিক জোট ও গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা সমন্বয়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) কেন্দ্রীয় সদস্য ও খুলনা জেলা সভাপতি ডা. মনোজ দাশ, সিপিবি কেন্দ্রীয় সদস্য এস এ রশীদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ খুলনা জেলা সমন্বয়ক জনার্দন দত্ত নান্টু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সদস্য ও খুলনা জেলা সভাপতি মোজাম্মেল হক খান, সাধারণ সম্পাদক গাজী নওশের আলী, বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ খুলনা জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মোস্তফা খালিদ খসরু, কাজী দেলোয়ার হোসেন, সিপিবি মহানগর সভাপতি এইচ এম শাহাদাৎ, সিপিবি নেতা মিজানুর রহমান বাবু, রুস্তম আলী হাওলাদার, কিংশুক রায়, শিক্ষক নেতা নিতাই পাল, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট খুলনা জেলা সভাপতি আব্দুল করিম, টিইউসি খুলনা জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম চন্দন, মহানগর সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাবু, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম খুলনা জেলা সভাপতি কোহিনুর আক্তার কণা, যুব ইউনিয়ন খুলনা জেলা সভাপতি এড. নিত্যানন্দ ঢালী, মহানগর সভাপতি আফজাল হোসেন রাজু, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রিয়াসাত আলী রিয়াজ, গণসংহতি আন্দোলন খালিশপুর থানা আহŸায়ক আলগীর হোসেন লিটু, শ্রমিকনেতা মোশাররফ হোসেন, আলমগীর কবির, শামস শারফিন শ্যাম, ছাত্র ফেডারেশন কেন্দ্রীয় সদস্য ও খুলনা মহানগর আহŸায়ক আল আমিন শেখ, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল কেন্দ্রীয় সদস্য নিয়াজ মুর্শেদ দোলন প্রমুখ।