নতুন আক্রান্ত ২৪০১, মৃত্যু ৩৯ জনের

0
163

খুলনাটাইমস: দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৯ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ২৭ জন ও নারী ১২ জন। মৃতদের ৩৬ জন হাসপাতালে ও বাড়িতে ৩ জন মারা যান। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন হাজার ৮৬১ জনে। করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯১টি পরীক্ষাগারে ১৩ হাজার ১৫৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১২ হাজার ৯৪৩টি নমুনা। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ৪০১ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল দুই লাখ ৯০ হাজার ৩৬০ জনে। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৪ লাখ ২০ হাজার ৪৯৯টি। গতকাল শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও তিন হাজার ৬২৪ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৭২ হাজার ৬১৫ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৫৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন বিমান সমুদ্র ও স্থলবন্দর এবং রেলস্টেশনে বিদেশ থেকে আসা মোট ৪ হাজার ৯৭০ জনের যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। মোট যাত্রীদের মধ্যে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৪ হাজার ১৯৮ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া স্থলবন্দর সমূহ ৫৩৪ জন, সমুদ্র বন্দরসমূহে ২৩৮ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনে কোনো যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়নি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত সর্বমোট ৮ লাখ ৪৩ হাজার ৩২৭ জন যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪ লাখ ৪০ হাজার ৩৫ জনের, স্থলবন্দর সমূহে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৭ জন, সমুদ্র বন্দরসমূহে ৩৩ হাজার ৪৩৬ জল এবং ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনে ৭ হাজার ২৯ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।
বিভাগীয় পরিসংখ্যান অনুসারে, করোনায় মোট মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১ হাজার ৮৫৪ জন (৪৮ দশমিক ২ শতাংশ), চট্টগ্রাম বিভাগে ৮৬৩ (২২ দশমিক ৩৫ শতাংশ), রাজশাহী বিভাগে ২৫১ (৬ দশমিক ৫০ শতাংশ), খুলনা বিভাগে ৩১৬ (৮ দশমিক ১৮ শতাংশ), বরিশাল বিভাগে ১৫১ (৩ দশমিক ৯১ শতাংশ), সিলেট বিভাগে ১৮৩ (৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ), রংপুর বিভাগে ১৬০ (৪ দশমিক ১৪ শতাংশ) ও ময়মনসিংহে ৮৩ জন (২ দশমিক ১৫ শতাংশ)। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট করোনায় মৃত ৩৯ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচ জন, রাজশাহী বিভাগে একজন, খুলনা বিভাগে তিনজন, বরিশাল বিভাগে দুইজন, সিলেট বিভাগে চারজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের একজন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মৃতদের মধ্যে প্রায় ৪৯ শতাংশ (৪৮ দশমিক ৫১ শতাংশ) ষাটোর্ধ্ব বয়সী। আর সবচেয়ে কম ১০ বছরের কম বয়সী মাত্র শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃতের পরিসংখ্যানে বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী ১৯ জন (শূন্য দশমিক ৪৯ শতাংশ), ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ৩৫ জন (শূন্য দশমিক ৯১ শতাংশ), ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৯৪ জন (দুই দশমিক ৪৩ শতাংশ), ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ২৪৩ জন (ছয় দশমিক ২৯ শতাংশ), ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৫১৬ জন (১৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ), ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ১ হাজার ৮১ জন (২৮ দশমিক শূন্য শতাংশ) এবং ৬০ বছরের বেশী বয়সী এক হাজার ৮৭৩ জন (৪৮ দশমিক ৫১ শতাংশ) রয়েছেন। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৩৯ জনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্বে চারজন, চল্লিশোর্ধ্ব চারজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঁচজন, ষাটোর্ধ্ব ২৫ জন রয়েছেন।