ধর্ষণে প্রশ্রয়দাতাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে: কাদের

0
260

টাইমস ডেস্ক:
ধর্ষণে প্রশ্রয়দাতাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তা এবং দফতর প্রধানের সঙ্গে উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ধর্ষণ নিঃসন্দেহে একটি নিন্দনীয় অপরাধ এবং সামাজিক ব্যাধি। এসব চরম ঘৃণিত কাজের সাথে যারা জড়িত, তারা বিকৃত রুচির অপরাধী। সরকার এ ধরনের প্রতিটি অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির বিধান করছে। মন্ত্রী বলেন, তবু কোথাও না কোথাও এ অপরাধ ঘটছে। সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী দেশে ধর্ষণের মতো ঘটনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ ধরনের সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সব ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করার কোনো প্রয়োজন নেই। অন্তত এ ধরনের একটি ইস্যু নিয়ে আমরা রাজনৈতিক দলগুলো, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনÑসবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, সমাজবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। দেশের সব নাগরিকের জন্য নিরাপদ চলাচল এবং নারীর প্রতি সহিংসতা ও নিন্দনীয় অপকর্ম রুখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। অপরাধীদের প্রশ্রয় না দিয়ে আইনের আওতায় আনতে সহযোগিতা করুন। প্রশ্রয়দাতাদেরও আইনের আওতায় আনব। ধর্ষণের সঙ্গে সরকারি দল সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের নাম আসছেÑ এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, যেই হোক। এটার দায় কেউ এড়াতে পারবে না। সরকার ক্ষমতায়, সরকার কীভাবে দায় এড়াবে? সরকার এটাকে আবার প্রশ্রয়ও দিচ্ছে না। প্রত্যেকটি ব্যাপারে সরকার দায়িত্ব নিচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দিয়ে এসব ঘটনায় যারাই জড়িত থাক, আমাদের দলীয় পরিচয়েও কেউ যদি থাকে, অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সেটা শুধু মুখে বলা হচ্ছে না, বাস্তবেও কার্যকর করা হচ্ছে। দৃশ্যমান কোনো শাস্তি কিন্তু দেখা যাচ্ছে নাÑএ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোনটা হয়নি? রিফাত হত্যার রায় সেদিন তো হয়ে গেল। ফেনীর নুসরাত হত্যাকা-, সেটিরও তো রায় হলো। এগুলো তো হচ্ছে। সব ব্যাপারেই শাস্তি হবে। ইউএনও ওয়াহিদার ওপর যে হামলা হয়েছে, সে ব্যাপারেও তো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দলীয় পরিচয়ের নামও শোনা গেছে, কিন্তু কাউকে ছাড় দেয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, আবরার হত্যাকা-ে যারা আসামি, তাদের প্রত্যেকেই ছাত্রলীগ পরিচয়ের, তাদের কি শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে? নাকি চার্জশিট থেকে বাইরে রাখা হয়েছে?
সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনসহ ৯ দফা দাবিতে সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার পণ্য পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনাকালে জনভোগান্তি ও দেশের পণ্য পরিবহনকে জিম্মি করা প্রত্যাশিত নয়। সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনসহ ৯ দফা দাবিতে সারাদেশে আগামী ১২ ও ১৩ অক্টোবর পণ্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি পরিবহন মালিকদের একটি অংশ বিশেষ করে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতি ২ দিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বলে শুনেছি। মালিক সমিতির কোনো দাবি থাকলে তা আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারি। অতীতে অনেক বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়েছে। আমি ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনিও বসতে রাজি। কোনো দাবি থাকলে আলোচনা হবে। করোনাকালে জনভোগান্তি ও দেশের পণ্য পরিবহনকে জিম্মি করা প্রত্যাশিত নয়। ওবায়দুল কাদের বলেন, তাই আমি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতিকে দেশের অর্থনীতির স্বার্থে পরিবহন ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত, আমি শুনেছি বিশেষ করে চট্টগ্রাম অঞ্চলে এই ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে, সেটা প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা আলোচনায় বসুন, যৌক্তিক কিছু থাকলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বসে বিষয়টির সমাধানের পথ খুঁজে বের করুন।