দেশ চালাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে সরকার: ফখরুল

0
162

টাইমস ডেস্ক:
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, করোনা ভাইরাসকে ব্যবহার করে দুর্নীতি-লুটপাটের পাহাড় গড়ে তুলেছে সরকার। তারা দেশ চালাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। করোনার নামে টাকা লুট করলেও মোকাবিলায় সরকার সম্পন্ন ব্যর্থ হয়েছে। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজীকে ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আজকে প্রমাণিত হয়ে গেছে সরকার জনগণকে বোকা বানানোর জন্য, গণতন্ত্রের মুখোশ পরে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করছে। প্রকৃতপক্ষে তারা এক নেত্রীর শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে, তারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। তিনি বলেন, আমরা মিছিল-মিটিং, আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারের টনক নড়াতে পারিনি। অবৈধ সরকার দেশ পরিচালনায়, মানুষের সমস্যা সমাধানে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সময় এসেছে প্রতিবাদের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তুলে সরকারকে হটিয়ে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, অনেক হয়েছে। এভাবে আর চলতে পারে না। আমরা পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই- অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, অবিলম্বে জনগণের চোখের ভাষা পড়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। অন্যাথায় জনগণের উত্তাল ঢেউ সৃষ্টি হবে, সেই ঢেউয়ে আপনারা সবাই ভেসে যাবেন। জনগণের উদ্দেশেও বলতে চাই, আপনারা আর নিশ্চুপ হয়ে থাকবেন না। যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে আজকে যদি আমরা প্রতিবাদ না করি, রুখে না দাঁড়াই তাহলে ১৯৭১ সালে আমরা যে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম, আমরা যে ১৯৯০ সালে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছিলাম, যে গণতন্ত্রকে আমরা ছিনিয়ে নিয়ে আসছিলাম সেই গণতন্ত্রকে তারা আবার হরণ করেছে। সুতরাং আমাদের সবাইকে আজকে রুখে দাঁড়াতে হবে, অধিকারকে ফিরিয়ে আনতে হবে, আমাদের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। ‘দানবীয়-হাইব্রিড-স্বৈরাচারী-পুতুল সরকারের’ বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষ জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির আহবানও জানান তিনি। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভিন্নমতকে স্তব্ধ করে দেয়ার জন্য তারা (সরকার) আজকে সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ এবং সাধারণ মানুষ যারা ভিন্ন পোষণ করে লেখালেখি করে, সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনো কথা বলে তখনই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়। যে মামলাতে সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী সাহেবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে একটা মিথ্যা অপবাদ, একটা অপব্যাখ্যা এবং সেই সঙ্গে আইনের একটা অপব্যাখ্যা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে বিনা জামিনে আটকিয়ে রাখা হয়েছে। অবিলম্বে রুহুল আমিন গাজী, দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদের মুক্তি এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানান ফখরুল। মির্জা ফখরুল বলেন, এই নির্বাচন কমিশন ও সরকার যৌথভাবে এই নির্বাচনকে তাদের একটা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে ক্ষমতায় টিকে থাকবার জন্য। তারা নির্বাচন নির্বাচন খেলা করছে। নির্বাচনের নামে তারা আজকে ত্রাস সৃষ্টি করেছে। সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এ মানববন্ধন হয়। সংগঠনের নেতা সাংবাদিক শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ছড়াকার আবু সালেহ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কাদের গনি চৌধুরী, শহীদুল ইসলাম, এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের অধ্যাপক আবদুল করীম, শামীমুর রহমান শামীম, প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন, প্রকৌশলী ফখরুল আলম, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের রফিকুল ইসলাম, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের জাহানারা বেগম, জাসাসের রফিকুল ইসলাম প্রমুখ পেশাজীবী নেতারা।