ডিসিআর প্রাপ্ত ও পৈত্রিক জমি দখলদার মুক্ত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি

0
491

নিজস্ব প্রতিবেদক :

খুলনা বটিয়াঘাটা উপজেলার কৃষ্ণনগর মৌজায় ডিসিআর প্রাপ্ত ও পৈত্রিক জমি অবৈধ দখলদার এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের হাত থেকে রক্ষার জন্য জানিয়েছেন খুলনা মহানগরীর বাসিন্দা তাহমিনা পারভীন রাণী। দশ লাখ টাকা উৎকোচ না দেয়ায় পাউবো কর্মকর্তারা লীজের রাজস্ব টিকিট দেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আজ শনিবার দুপুরে খুলনা প্রেসকাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তাহমিনা পারভীন রাণী। সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতায় তিনি বলেন, আমার পিতা মরহুম কাজী এনামুল হক, বড় চাচা মরহুম কাজী সিরাজুল হক ও মেঝ চাচা কাজী রহমতুল হক বিনিময়ের মাধ্যমে বটিয়াঘাটা উপজেলার কৃষ্ণনগর মৌজায় ৪ একর ৩৬ শকত জমির মালিকানা স্বত্ত্ব লাভ করেন। পরবর্তীতে (এল,এ (ও) কেস নং-৬৪/৬৩-৬৪ মূলে অধিগ্রহণকৃত এস, এ, দাগ নং-১৯৩ এর দশমিক ৭৭ শতক এবং পৈত্রিক ২০ কাটা বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড আমাদের ৭৭ শতক জমিসহ আরও অনেকের জমি অধিগ্রহণ করে। কিন্তু কাজে না লাগার কারণে পাউবো সবার জমি ফিরিয়ে দেয়।
পরবর্তীতে আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড আমাদের জমি আমাদের কাছেই লীজ প্রদান করে। তবে উৎকোচের ১০ লাখ টাকা না দেয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী আমাদের লীজের রাজস্বের টিকিট আটকে রাখে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে আমাদের নামে লীজ নেয়া দশমিক ৭৭ একর জমিসহ আমাদের পৈত্রিক ৮ কাটা জমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা আমাদের জমির পাশের জমির মালিক হাছিনা খানমের ছেলে মোঃ মেজবা উদ্দিনকে বুঝিয়ে দেয়। জমি মেপে দেয়ার সময় আমরা যেনো বাধা দিতে না পারি সে জন্য খুলনার এক প্রভাবশালী শীর্ষ রাজনৈতিক নেতার আতœীয় পরিচয় দিয়ে গায়ক মেজবা উদ্দিন সেখানে শতাধিক সন্ত্রাসীদের নিয়ে মহড়া দেয়। তাদের ভয়ে আমাদের পরিবারের সদস্যরা বাড়ি থেকে বের হতেও সাহস পাচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, ২০১১ সাল থেকেই আমরা দশমিক ৭৭ শতক জমি লীজ গ্রহণ করলেও ভোগ দখল করতে পেরেছি সামান্য কিছু অংশ। বাকি জমি জোর করে অবৈধভাবে ভোগদখল করে আসছে মেজবা ও সাবেক কানুনগো মুনসুর আলী। মুনসুর আলী আমাদের পৈত্রিক ১২ কাটা জমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে।
মেজবা ও মুনসুর বিপুল পরিমান অর্থ ঘুষ দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে আমাদের জমি বুঝিয়ে দেয়া থেকে বিরত রাখে। ২০১৮ সালে পূনরায় লীজ আবেদন করা হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা লীজ প্রদানে গড়িমশি করতে শুরু করে। এরই প্রেক্ষিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধতন কর্র্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ২৪ ঘন্টার মধ্যে লীজ প্রদান করার জন্য নির্দেশ দেয়। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে জমি লীজ প্রদান করলেও নির্বাহী প্রকৌশলী-১ মোঃ শরিফুল ইসলাম, এল এ শাখার খালেক, সেলিম, এসও তরিকুল, প্রকৌশলী মিজান যোগসাজসে আজও আমাদের রাজস্ব টিকিট না দিয়ে আটকে রেখেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী-১ মোঃ শরিফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আমাদের বলেন, রাজস্ব টিকিট পেতে হলে দশ লাখ টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে টিকিট পাওয়া যাবে না।