জি কে শামীমকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

0
264

খুলনাটাইমস: অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া (জি কে) শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক। দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, গতকাল রোববার দুপুর সোয়া ২টার দিকে হাতকড়া পরিয়ে শামীমকে কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মাইক্রোবাসে করে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে আনা হয়। দুপুর ২টা থেকে পরিচালক ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শামীমকে রমনা থানায় নিয়ে রাখা হয়। হেফাজতের বাকি ছয়দিন রমনা থানা থেকে দুদক কার্যালয়ে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। গত ২৭ অক্টোবর দুদকের এক আবেদেনের প্রেক্ষিতে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আল মামুন সাতদিন হেফাজতে রেখে শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ এবং যুবলীগ নেতা পরিচয়ে ঠিকাদারি ব্যবসা করে আসা জি কে শামীমকে ওইদিন আলাদাভাবে আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়েছিল দুদক। দুই মামলাতেই দুদকের পক্ষে রিমান্ড শুনানি করেন দুদক আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। গত ২১ অক্টোবর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ খালেদ ও শামীমের বিরুদ্ধে মামলা দুটি দায়ের করা হয়। জি কে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন। ‘অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ’ ২৯৭ কোটি আট লাখ ৯৯ হাজার ৫৫১ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগদখল করার অভিযোগ আনা হয় সেখানে। আর খালেদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের আরেক উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। এই মামলায় খালেদের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার ক্লাবপাড়ায় অভিযান শুরুর প্রথমদিনেই গুলশানের বাসা থেকে খালেদকে ধরা হয়। তার বাসা থেকে পাওয়া যায় ৫৮৫টি ইয়াবা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং অবৈধ অস্ত্র। একই সঙ্গে অভিযান চলে ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে। সেখানে পাওয়া যায় মদ আর জুয়ার বিপুল আয়োজন; সেইসঙ্গে ২৪ লাখ টাকা। ওই ঘটনায় অস্ত্র, মাদক ও মুদ্রাপাচার আইনে খালেদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয় গুলশান থানায়। আর মতিঝিল থানায় মাদক আইনে করা হয় আরেকটি মামলা। অন্যদিকে জি কে শামীমকে গ্রেফতার করা হয় ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকতনে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে। সেখান থেকে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে দুইশ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানায় র‌্যাব। তখন শামীমের সঙ্গে তার সাত দেহরক্ষীকেও গ্রেফতার করা হয়। শামীমের বিরুদ্ধেও মাদক, মুদ্রা পাচার ও অস্ত্র আইনে তিনটি মামলা হয়েছে।