জানুয়ারি থেকে অভিন্ন রেজিস্ট্রেশনে সব বোর্ড পরীক্ষা

0
321

প্রাথমিক সমাপনী (পিইসি) থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা একই রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে পরীক্ষায় অংশ নেবে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকেই এই নিয়ম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সব বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য একজন শিক্ষার্থীর একটিমাত্র রেজিস্ট্রেশন নম্বর থাকবে। এ জন্য ‍শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশেষ সফটওয়্যার তৈরি করছে। এতে প্রতিটি রেজিস্ট্রেশন নম্বরের বিপরীতে সংশ্নিষ্ট শিক্ষার্থীর বিস্তারিত একাডেমিক তথ্য সংরক্ষণ করা হবে।

২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শুরু থেকেই এ পদ্ধতি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জানুয়ারিতে ভর্তি শেষ হওয়ার পর পঞ্চম, অষ্টম, নবম ও একাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের এই অভিন্ন রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনা হবে। সরকারি হিসেবে ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে মোট শিক্ষার্থী হবে ৪ কোটি ২৬ লাখ ১৯ হাজার। নতুন এ পদ্ধতি কার্যকর করতে এরই মধ্যে একটি সফটওয়্যার তৈরির কাজে হাত দিয়েছে এ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো’কে (ব্যানবেইস) এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, অভিন্ন রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি চালু করা গেলে স্কুল-কলেজে অনিয়ম কমবে। সরকারি বৃত্তি পেতে অথবা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানোর প্রবণতা কমে যাবে। আবার দুর্নীতি-অনিয়ম করে আসনের বেশি ভর্তি করিয়ে সরকারি কাগজপত্রে শিক্ষার্থী কম দেখানোর সুযোগও কমে যাবে। শিক্ষা বোর্ডগুলোর রেজিস্ট্রেশন রিপ্লেস জালিয়াতিও চিরতরে বন্ধ হবে। পাশাপাশি জানা যাবে, বিভিন্ন স্তরে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর প্রকৃত সংখ্যা।

এ বিষয়ে ব্যানবেইসের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. ফসিউল্লাহ জানান, আগামী ২০১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে সব পরীক্ষা একটিমাত্র রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মাধ্যমে হবে। শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত বৃত্তির টাকা, তাদের জন্য সরকার প্রদত্ত স্বাস্থ্যসেবা, জাতীয় পর্যায়ের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ- এর সবই হবে এই একটি মাত্র রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মাধ্যমে।

ব্যানবেইস সূত্র জানায়, কেবল ছাত্রছাত্রীদের জন্য নয়, শিক্ষকদের জন্যও একটি পৃথক তথ্যভাণ্ডার (ডাটাবেস) গড়ে তোলা হচ্ছে। এ জন্য পৃথক আরেকটি সফটওয়্যার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিটি দপ্তরের সঙ্গে এই তথ্যভাণ্ডারের ‘ইন্টিগ্রিটি কানেকটিভিটি’ থাকবে। এসব প্রতিষ্ঠান তাদের দাপ্তরিক প্রয়োজনে এই তথ্যভাণ্ডারের তথ্য ব্যবহার করতে পারবে।

সূত্র: সমকাল