খুলনায় রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের আন্দোলন এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত

0
456

নিজস্ব প্রতিবেদক:
তিন শর্তে খুলনায় পাটকল শ্রমিকদের চলমান আন্দোলন কর্মসূচি এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। একই সাথে শ্রমিকরা যথারীতি কাজে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন, বিজেএমসি ও শ্রমিকদের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
পাটকল শ্রমিক লীগ খুলনা-যশোর অঞ্চলের আহ্বায়ক মো. মুরাদ হোসেন জানান, চলতি সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া দুই সপ্তাহের মজুরি প্রদান, আগামী সপ্তাহের মধ্যে পুরো বকেয়া মজুরি প্রদান ও বুধবার কর্মরত শ্রমিকদের মজুরি কমিশন বাস্তবায়নের পে-স্লিপ প্রদানের শর্তে আন্দোলন স্থগিত করা হয়।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে খুলনা শ্রম অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, বিজেএমসি লিয়াজোঁ কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন, পাটকল শ্রমিক লীগের সভাপতি সরদার মোতাহার উদ্দীন, আহবায়ক মুরাদ হোসেন, পাটকল সিবিএ-নন সিবি ঐক্য পরিষেদের নেতা সোহরাব হোসেন, খলিলুর রহমান, শাহানা পারভীনসহ ৯টি পাটকলের প্রকল্প প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় জেলা প্রশাসক বিজেএমসি চেয়ারম্যান, পাট মন্ত্রনালয়ের সচিব ও প্রধানমন্ত্রী মুখ্য সচিবসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে বকেয়া মজুরি পরিশোধ ও মজুরি কমিশন বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।
খুলনার ক্রিসেন্ট জুট মিলের সিবিএ সম্পাদক সোহরাব হোসেন বলেন, শ্রমিকরা রুজি-রুটির জন্য মিলে কাজ করে। সপ্তাহ শেষে মজুরি দিয়ে সংসার পরিচালনা করে। অথচ গত ১২ সপ্তাহ শ্রমিকদের মজুরি প্রদান করা হচ্ছে না। এ কারণে গত ৫ মে থেকে শ্রমিকরা পাটকলগুলোর উৎপাদন বন্ধ রেখে ধর্মঘট-অবরোধ পালন শুরু করে। তিনি বলেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বকেয়া মজুরি প্রদান ও মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন না হলে আবারো আন্দোলনে নামবে শ্রমিকরা।
উল্লেখ্য, ৯ দফা দাবিতে গত রবিবার (৫ মে) বিকেল থেকে খুলনা-যশোর অঞ্চলের নয়টি পাটকলে কর্মবিরতি শুরু হয়ে ১৩ মে থেকে সারাদেশের ২৬টি পাটকলে এ কর্মবিরতি পালন করা হয়।