কয়রায় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণ, ক্ষোভ এলাকাবাসীর

0
199

কয়রা প্রতিনিধি:
খুলনার কয়রা উপজেলায় একটি সড়ক উন্নয়ন কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সড়কটি নির্মাণ চলাকালিন স্থানীয় মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরেজমিন তদন্ত পূর্বক নিম্নমানের মালামাল অপসারনের নির্দেশ দেন। কিন্তু ঠিকাদার সে নির্দেশ উপেক্ষা করে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করছেন। এতে স্থানীয় মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটির নির্মাণকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স অগ্রনী কনস্ট্রাকসন্স এর মালিক স্থানীয় আমাদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা আমীর আলী গাইন। এলাকাবাসির অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যান তাঁর নিজস্ব ভাটার নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে সড়ক নির্মাণের চেষ্টা করছেন। এতে ওই সড়কের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কয়রা উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আমাদি ইউনিয়নের চন্ডিপুর বটতলা থেকে খিরোল লঞ্চঘাট পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কের উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে। সড়কটিতে এর আগে ইটের সলিং ছিল বর্তমানে সেটি পিচ ঢালাই করা হচ্ছে। সড়কটির উন্নয়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৬ লাখ ৫১ হাজার ৫৯৪ টাকা। এর মধ্যে পুরাতন ইটের দাম ধরা হয়েছে প্রায় ২৫ লাখ টাকা। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তার পুরাতন ইট ব্যবহারের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঠিকাদার নিজের ভাটার একেবারে নিম্নমানের ইটের খোয়া মিশিয়ে দিচ্ছেন। ফলে রোলারের চাপে তা গুড়ো হয়ে বালি ও মাটির সাথে মিশে গেছে। তার উপর দিয়েই পিচ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসির অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তর থেকে তদন্তে সত্যতা মেলে। এ প্রেক্ষিতে গত ২০ ও ২৪ সেপ্টেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজের সাইট থেকে নিম্নমানের সামগ্রী অপসারনের জন্য পৃথক নোটিশ করা হয়। ঠিকাদার নোটিশের তোয়াক্কা না করে কাজ চলমান রেখেছেন।চন্ডিপুর গ্রামের বাসিন্দা সুপদ কুমার ঢালী বলেন, কতৃপক্ষের নোটিশ পেয়েও ঠিকাদার নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা বাঁধা দিতে গেলে উল্টো চাঁদাবাজির মামলা ফাঁসানের ভয় দেখানো হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীগ নেতা হওয়ায় তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। তাঁর ভয়ে প্রকাশ্যে কেউ কথা বলতে সাহস পাচ্ছেন না। জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ইউপি চেয়ারম্যান আমীর আলী গাইন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দরপত্রের চুক্তিতে রাস্তার সোলিংয়ের পুরাতন ইট ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে। সেই ইট ও কিছু নতুন ইট ব্যবহার করায় কাজের মান খারাপ হতে পারে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কাজ বন্ধ করে খারাপ ইট অপসারন করা হয়েছে। কয়রা উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুর রহমান বলেন, এলাকাবাসির অভিযোগ পেয়ে সাইট থেকে নিম্নমানের মালামাল অপসারনের জন্য ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। একই সাথে সড়কের কাজ ভাল করার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।