ক্ষমতাসীন দল খুলনাতে এক ঝাঁক তরুন নেতা আলোচনায়

0
530

টাইমস ডেস্ক:
ক্ষমতাসীন দল খুলনাতে এক ঝাঁক তরুন নেতা আলোচনায়। জানা গেছে, সার্বক্ষণিক মাঠে সক্রিয় থাকা, এর পাশাপাশি কর্মী বান্ধব হবার কারনে তরুন প্রজন্মের এসব নেতারা আলোচনায় এসেছেন, এদের কেউ কেউ রাজনৈতিকভাবে পুরস্কৃত হয়েছেন, কেউবা কাঙ্ক্ষিত পদ পদবী না পেলেও মাঠে সক্রিয় থাকার কারনে আলোচনায় রয়েছেন। দলে এসব নেতারা ফ্রন্ট ফাইটার হিসাবে পরিচিত, নেতা কর্মীদের মাঝে জনপ্রিয়তার কারনে এরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ অঙ্গনে আলাদা অবস্থান করে নিয়েছেন।
সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস:
অপেক্ষাকৃত তরুন এই নেতা আওয়ামীলীগ খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানা শাখার একাধিকবার সভাপতি, একই সাথে খুলনা শিল্প ও বনিক সমিতির কয়েক দফায় সহ সভাপতি। খুলনাতে বসবাসরত শেখ পরিবারের আস্থাভাজন ধনাঢ্য বুলু বিশ্বাস রাজনীতির নেপথ্যে ভোটের অন্যতম কিং মেকার। গেলো মেয়র নির্বাচনে নিজ পরিবারের চারজন কাউন্সিলরসহ ৯ জন কাউন্সিলরকে দলে ভিড়িয়ে তিনি খুলনার রাজনীতিতে রীতিমতো চমক দেন। খুলনার প্রভাবশালী বিশ্বাস বাড়ির” প্রতিনিধি বুলু বিশ্বাস ব্যক্তি জীবনে নিরহঙ্কার, সদালাপী, ব্যবসায়ীদের কাছে আস্থাভাজন একজন রাজনীতিক হিসাবে সমধিক পরিচিত। অদুর ভবিষ্যতে, খুলনা শিল্প ও বনিক সমিতির সভাপতি হবেন, এর পাশাপাশি আগামীতে খুলনা- ৩ আসনে এমপি পদে প্রার্থী হতে পারেন এমন গুঞ্জনও রয়েছে।

শেখ মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম:
ছাত্রলীগের পদ বঞ্চিত ও নিষ্ক্রিয় একঝাক নেতা কর্মীকে নিয়ে বছর দুই আগে সাবেক ছাত্রলীগের ব্যানারে মাঠে নেমে খুলনাতে নতুন করে চমক সৃষ্টি করেন সাবেক ছাত্রনেতা শেখ মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম। এই ব্যানারে থেকে খুলনাতে কি চাই, কি নাই এমন দাবি নিয়ে একের পর এক প্রোগ্রাম নিয়ে খুলনাতে রীতিমতো হৈ চৈ তুলেন জাহাঙ্গীর। ৮০ র দশকে সিটি কলেজের একজন তৃনমূল কর্মী থেকে আজকের অবস্থানে উঠে আসা জাহাঙ্গীর চলমান করোনা সংকটে জীবনবাজি রেখে যেভাবে রাজপথে তিন বেলাতেই ছিলেন, তা ছিল প্রশংসনীয়। জাহাঙ্গীরের চরম শত্রুরাও সেটা একবাক্যে স্বীকার করেন। ত্রান কাজের জন্য জাহাঙ্গীর যেমন নিজ ও পরিবার করোনাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তেমনি ইতোমধ্যেই খুলনাতে রাখাল রাজা হিসাবে পরিচিতি পেয়েছেন। অতি সম্প্রতি, খুলনা মহানগরী আওয়ামীলীগের কমিটি জমা দেয়া হলে সেখানে কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়ায় ফেস বুকে ক্ষোভের সাথে দলের নেত্রী বরাবর খোলা চিঠি ছাড়েন।এই চিঠির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু পরিবার ও খুলনা সিটি মেয়রের আস্থাভাজন জাহাঙ্গীর নতুন করে আলোচনায় আসেন। নগর জুড়ে জাহাঙ্গীরের চিঠি খুলনার রাজনীতিতে আলোচনার ঝড় বয়ে যায়। প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে প্রস্তাবিত নগর কমিটি।
শফিকুর রহমান পলাশ:
খুলনা মহানগর যুবলীগের আহবায়ক। এক সময়ের মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, প্রায় এক দশক রাজনীতির পদ পদবীর বাইরে ছিলেন। কিন্তু তারপরেও হাল ছাড়েন নি।
খুলনা সিটি মেয়রের অনুসারী পলাশ দাঁত কামড়ে মাঠের রাজনীতিতে সব সময়েই সক্রিয় ছিলেন। মেধাবি পলাশ ব্যক্তিগত সততা, দলের প্রতি একনিষ্ঠতা, কর্মী বান্ধব, সদালাপী হবার কারণে খুলনার রাজনীতিতে ইউটার্ন করে ফিরে এসে নিজ যোগ্যতা প্রমান করেছেন তেমিন আজকের খুলনার রাজনীতিতে আজ তিনি অন্যতম ফ্যাক্টর।
তরুন বয়সেই পলাশ দানবীর হিসাবে ইতমধ্যেই পরিচিতি পেয়েছেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারের আস্থাভাজন পলাশের হাত দিয়েই গেল করোনায় খুলনা মহানগরীতে যুবলীগের ব্যানারে ত্রান বিতরন হয় যা ছিল প্রশংসনীয়।
এর বাইরেও খুলনা মহানগরসহ পলাশ নিজ নির্বাচনী এলাকা খুলনা- ৪ আসনে যথাসাধ্য করোনা সংকটে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন।দল মত নির্বিশেষে মিডিয়া বান্ধব পলাশ সব মহলেই জনপ্রিয়। খুলনা আওয়ামীলীগ বা যুবলীগের প্রোগ্রামে বড় শো ডাউন হয় সব সময়েই পলাশের নিজ ব্যানারেই।
শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন:
খুলনার নগর রাজনীতিতে একেবারেই নবীন শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন যিনি শেখ সুজন হিসাবেই পরিচিত। শেখ পরিবারের সন্তান শেখ সুজন ব্যক্তিগত জীবনে ভদ্র, মার্জিত ব্যবহারের কারনে রাজনীতিতে ইতমধ্যেই পৃথক একটা অবস্থান করে নিয়েছেন। ছাত্রলীগ খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি সুজন বর্তমানে একই সঙ্গে খুলনা মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক। ইতমধ্যেই সুজন ঘোষণা দিয়েছেন, ছাত্রলীগ ছেড়ে দেয়ার।
দল ও দলের বাইরে কর্মী বান্ধব সুজনের জনপ্রিয়তা দেখার মতো, রাজনীতিতে সক্রিয় হবার পর থেকে আজ অবধি সুজনের কোনও বদনাম নেই। ক্লিন ইমেজ নিয়ে রাজনীতি করতে চান দলের প্রয়াত নেতা শেখ শহিদের এই সন্তান। খুলনা- ৩ আসনে আগামী দিনে এমপি হবেন এটা অনেকটা ওপেন সিক্রেট, প্রচার বিমুখ সুজনও তেমনভাবেই নিজেকে গড়ে তুলছেন।
অসিত বরণ বিশ্বাসঃ
৮০ র দশক থেকে রাজপথেই আছেন। একজন কর্মীর মতোই সরাসরি ফ্রন্ট লাইনের ফাইটার। পোস্টার লাগানো থেকে শুরু করে ওয়ালিং করা, হরতালে পিকেটিং করা, দলের সব ধরণের কর্মসূচিতেই অসিত সবসময়েই সক্রিয়। শ্লোগান মাষ্টার হিসাবে দলের নেতা কর্মীদের মাঝে আজও সমাদৃত।
প্রয়াত হুইপ মোস্তফা রশিদি সুজার অনুসারী অসিত দলের একজন ভ্রাম্যমান নেতা, আজ খুলনায় তো কাল ঢাকা এমন ভাবেই চলেছে অসিতের রাজনৈতিক জীবন।কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচীতে অসিতের অনুপস্থিতি নেই।
জানা গেছে, দেশে অসিতই এমন একজন নেতা যে ছাত্রজীবনে পাঁচ পাঁচটা কেন্দ্রীয় কমিটি পেয়েছেন। দল ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগ যেমন করেছেন তেমনি ক্ষমতার বাইরে থাকলেও সাহসিকতার সঙ্গে জীবনবাজি রেখে দল করেছেন। তৃনমূল থেকে উঠে আসা অসিত কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি হয়ে আওয়ামীলীগের উপ কমিটিতেও ছিলেন এক মেয়াদে। গত মেয়াদে খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে শুন্য পদে সভানেত্রী, দলের সাধারণ সম্পাদক বলে দেয়ার পরেও ঢুকতে পারেন নি একটি অশুভ চক্রের কারনে। তারপরেও অসিত ভেঙ্গে পড়েন নি, দল থেকে হারিয়ে যান নি।সক্রিয় থেকে অসিত এবার খুলনা জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদকে প্রার্থী ছিলেন।দলের সাধারন সম্পাদক হতে না পারলেও যুগ্ম সম্পাদকের দাবিদার ছিলেন, বিধিবাম, সেখানেও অসিতের নাম নেই। প্রস্তাবিত কমিটিতে অসিতের নাম তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হিসাবে এসেছে, এমন খবর বিভিন্ন গনমাধ্যম থেকে জানার পর থেকেই অসিত ক্ষুদ্ধ।দলে যথেষ্ট পরিমান সিনিয়রিটি, গ্রহণযোগ্যতা থাকা স্বত্বেও তথ্য ও গবেষণা পরিষদের মতো অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদে যেতে আগ্রহী নন আসিত। ফেস বুকে নিজের ওয়ালে দেয়া পোস্টে অসিত ক্ষোভের কথা লিখেছেন।
দলের সুত্রগুলি জানিয়েছে, প্রস্তাবিত কমিটি নিয়ে অসিত প্রথম থেকেই সোচ্চার। কমিটি নিয়ে প্রকাশিত অভিযোগের বিভিন্ন পেপার কাটিং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে জমা দিয়েছেন, সরকারের বিভিন্ন এজেন্সিকে দিয়েছেন, এমনকি খুলনা কানেক্টেড কেন্দ্রীয় নেতারাসহ দলের সাধারন সম্পাদককেও দিয়েছেন কর্মী বান্ধব এই নেতা, এমন গুঞ্জন ওপেন সিক্রেট। অতি সম্প্রতি জেলার এক শীর্ষ নেতাকে নিয়ে জেলার সব থানাতে অসিতের পুজা মন্ডব ঘুরে দেখার ঘটনা খুলনার জেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরনের আভাস দেয়।
কামরুজ্জামান জামালঃ
দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ, জেলা শাখার অতন্দ্র প্রহরী কামরুজ্জামান জামাল প্রয়াত হুইপ মোস্তফা রশিদি সুজার হাত ধরেই ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসাবে রাজনীতির পথ চলা শুরু করেছিলেন। জীবদ্দশায় রাজনৈতিক গুরু সুজার সাথে বনিবনা না হলে পরে বর্তমান সভাপতি শেখ হারুনকে নেতা মেনে তার সাথেই সাথে হাত মেলান জামাল। সেই থেকেই আজ অবধি শেখ হারুনের সাথেই আছেন।জেলার রাজনীতিতে জামাল সন সময়েই সক্রিয়।
নেতা হিসাবে জামাল আজও প্রয়াত সুজাকে মানেন, মনে প্রাণে শ্রদ্ধা করেন, সুজার স্মৃতিচারণে আবেগে আপ্লুত হয়ে যান, কিন্তু তারপরেও আজ অবধি খুলনাবাসীর অজানা জামাল কেনও সুজাকে ছেড়ে এসেছিলেন? জানা গেছে, এবারের প্রস্তাবিত কমিটি নিয়ে জামাল কম বেশি অসন্তুষ্ট, দ্বিতীয় যুগ্ম সম্পাদক হিসাবে প্রস্তাবিত কমিটিতে তার নাম নাম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে জামাল নিজ থেকেই স্টাটাস দিয়েছিলেন, প্রকাশিত কমিটির পদ পদবির ঘটনা সব সত্য নয়। আপাদমস্তক রাজনীতিক জামাল এখন খুলনা আওয়ামীলীগের জেলার রাজনীতিতে রীতিমতো কিং মেকার। নেতা বানানোর কারিগর জামালের আশীর্বাদ বা সমর্থন না পেলে দলীয় রাজনীতিতে অনেকেই ছিটকে পড়বেন এটা ওপেন সিক্রেট। গ্রæপ পলিটিক্সে জামাল এখন অনেক পরিপক্ক।ছাত্রলীগ, জেলা যুবলিগের দায়িত্ব পালন শেষে গত মেয়াদে খুলনা জেলা আওয়ামীলীগে সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন কর্মী বান্ধব এই নেতা।জেলা আওয়ামীলীগের পুরনাংগ কমিটি ঘোষণা না হওয়ায় অফিশিয়ালি জামাল এখন আবার জেলা যুবলীগের সভাপতি। তিন দফা সরকার ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও জামাল দল বা সরকার থেকে কোনও রাজনৈতিক সুযোগ সুবিধা পান নি বা নেন নি, সেক্ষেত্রে জামালের অবস্থান অনেকটা বিরোধী দলের ত্যাগী নেতা কর্মীদের মতো।
এস এম খালেদিন রশিদি সুকর্ণঃ
দলের প্রয়াত সাধারন সম্পাদক মোস্তফা রশিদি সুজার সন্তান সুকর্ণ। সাবেক হুইপ সুজা ছিলেন দলের কিংবদন্তী নেতা, বাবার মৃত্যুর পরপরই মায়ের মৃত্যু সুকর্ণকে পারিবারিক ও রাজনৈতিক সংকটে ফেলে দেয়, খুলনা- ৪ আসনে পিতা এমপি ছিলেন, স্বভাবতই সুকর্ণর ও পিতার শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রত্যাশা ছিল, বাবার স্মৃতি ধরে রাখতে উত্তরাধিকার হিসাবে সে মনোনয়ন পাবেন, কিন্তু ভাগ্য সহায় না থাকায় সুকর্ণ সেখানে বা অন্য কোথাও দল থেকে মনোনয়ন পাননি।
বাবার মতোই রাজনৈতিক মুরুব্বী বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল নিজ থেকেই সুকর্ণর দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছেন। শেখ হেলালের পরামর্শে, দিক নির্দেশনায় তরুন এই নেতা জেলার রাজনীতিতে নিজেকে সার্বক্ষণিক সক্রিয় রেখেছেন। প্রস্তাবিত জেলা কমিটিতে সুকর্ণ এবার সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পাচ্ছেন, এটা ওপেন সিক্রেট।
গাজী এজাজ আহমেদঃ
খুলনা আওয়ামীলীগের প্রয়াত ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক হাদিউজ্জামান হাদির সন্তান এজাজ। বাবা জীবদ্দশায় উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। বাবার পথ ধরে এজাজ এখন উপজেলা চেয়ারম্যান। নৌকা প্রতীক না পেলেও তিন প্রভাবশালী পরিবারের সমর্থনে তরুন এই নেতা সহজেই নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়ে ডুমুরিয়েতে উপজেলা নির্বাচিত হয়েছেন।
খুলনা প্রস্তাবিত জেলা কমিটিতে এজাজের নাম আসায় অনেকেই বিরোধিতা করেছেন। এই অংশের বক্তব্য, এজাজ সতন্ত্র নির্বাচন করে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন তাও নৌকা প্রতীকের বিপরীতে, যে দল থেকে প্রতীকই পাননি সে কিভাবে জেলা কমিটিতে আসে ? সে তো দলেরই লোক না। জানা এতো বিতর্কের পরেও এজাজ জেলা কমিটিতে থাকছেন, জেলার শীর্ষ নেতাদের সাথে এজাজের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো, প্রয়াত হাদির সন্তান হিসাবে সব মহলেই এজাজের যাতায়াত আছে। নিজের আলাপ ব্যবহার, সবার সাথে যোগাযোগের কারনে এজাজ ইতমধ্যেই নিজস্ব একটা অবস্থান করে নিয়েছেন। মাঠ পর্যায়ে দল ও দলের বাইরে সবার সাথেই রজাজের উঠাবসা, আগামিতে এজাজ ডুমুরিয়া- ফুলতলা মিলে খুলনা- ৫ আসনে এমপি প্রার্থী হবেন, এমন গুঞ্জন রয়েছে।
(তথ্যসূত্র: প্রথমসময়.কম)