কর্মহীনদের পাশে দাঁড়াতে হবে : সাংসদ ঝর্ণা

0
296

দাকোপ প্রতিনিধি:
জ্যামিতিক হারে বাড়ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। বাংলাদেশসহ বিশে^র সকল দেশে এই ভাইরাসের প্রার্দুভাব ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে। কারোনাভাইরাসের প্রভাবে দিনমজুর শ্রেণির মানুষ ঘরবন্দী থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এই সংকটকালে কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাধ্যমত সহায়তা করা প্রয়োজন।
রোববার বিকেল ৪টার দিকে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে কর্মহীন মানুষের মধ্যে সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সংরক্ষিত নারী-৩০ (খুলনা-বাগেরহাট) আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট গেøারিয়া ঝর্ণা সরকার।
করোনাভাইরাসের কারণে আর্থিক সংকটে থাকা খুলনার দাকোপ উপজেলার কামারখোলা ইউনিয়নে বসবাসরত নি¤œআয়ের মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ‘কারিতাস খুলনা অঞ্চল, নামের একটি বেসরকারি সংস্থা। এ লক্ষ্যে গৃহবন্দী দরিদ্র প্রায় ৬০টি পরিবারের মধ্যে নগদ টাকা বিতরণ করা হয়। বহুমূখী আপদে জনগণের সক্ষমতা শক্তিশালীকরণ (এসসিআরএস দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় কারিতাস খুলনা অঞ্চল এই আয়োজন করে।
সাংসদ গেøারিয়া ঝর্ণা বলেন, চলমান দুর্যোগ পরিস্থিতিতে খেটে খাওয়া মানুষ কর্মহীন হওয়ায় পরিবারের আয় নেই। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষায় তাঁদেরকে গৃহবন্দী রাখা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে মানুষের ঘরে পর্যাপ্ত খাদ্য না থাকায় জীবনধারণ করতে হিমশিম পোহাতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যাঁরা প্রতিদিনের আয়ের ওপর নির্ভরশীল তাঁরা এ সময় কিছুই করতে পারছেন না। এ জন্য তাঁদের খাদ্যসামগ্রী কেনার উপহার হিসেবে নগদ টাকা প্রদান করেছে। আমি আহŸান জানাই আমাদের যার যা আছে তা নিয়েই মানুষের পাশে দাঁড়াই।
কামারখোলার কালিনগর বাজারে অনুষ্ঠিত সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ইউপি চেয়ারম্যান পঞ্চানন মÐল, কারিতাস খুলনা অঞ্চলের কনিষ্ঠ কর্মসূচী কর্মকর্তা পবিত্র কুমার মÐল, কেন্দ্রীয় যুব ঐক্য পরিষদের সহসভাপতি দেবাশীষ রায়, ইউপি সদস্য ননী গোপাল মাঝি, সুশংকর বাছাড়, স্বপন কুমার বাছাড়, মো. আব্দুল সাত্তার, সুজিৎ মÐল, সুধা রাণী হালদার, চন্দনা রাণী জোয়াদ্দার, ছাত্রলীগ নেতা মিল্টন মÐল, পল্লব রায়, কারিতাসের প্রকল্প সুপারভাইজার আলোইশিয়াস গাইন, মিল্টন মÐল ও কমিউনিটি ফেসিলিটেটর চিরঞ্জিত সরদারসহ আরও অনেকে।
এতে ভ্যানচালক, ট্রলারচালক, দিনমজুর ও হতদরিদ্র ৬০টি পরিবারের মধ্যে প্রতিটি পবিবারকে নগদ ১ হাজার ৫শ‘ ৫০ টাকা করে বিতরণ করা হয়েছে।