করোনায় সারাবিশ্বে মৃত বেড়ে ৩২০২, আক্রান্ত ৯৩ হাজারের বেশি

0
248

খুলনাটাইমস বিদেশ : বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ২০২ জনে। এর মধ্যে চীনের মূল ভূখণ্ডে করোনায় মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৯৮১ জনের। এ ছাড়া শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানা গেছে। সংবাদমাধ্যম বিএনও নিউজ এ খবর জানিয়েছে। এদিকে চীনে সংক্রমণ কমে এলেও, অন্যান্য দেশে বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাসের প্রকোপ। ইতালি, ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনার সংক্রমণ বেড়ে চলেছে আশঙ্কাজনক হারে। এখন চীন নয়, বরং বিশ্বের কাছেই ভয়ানক আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে নভেল করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগ। কারণ চীনের হুবেই থেকে প্রায় বিশ্বের বহু দেশে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস প্রতিনিয়তই কেড়ে নিচ্ছে প্রাণ। চীনের বাইরে করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। এ ছাড়া সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ইরানে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৭ জনে। তবে বাস্তবে এ সংখ্যা আরো বেশি বলেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ধারণা করছে। করোনার কারণে দেশটির সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে কয়েকটি দেশ। সচল এলাকাগুলোতে আতঙ্কিত মানুষ মাস্ক পরে চলাফেরা করছেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় রাজধানী ছাড়িয়ে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে পুরো দেশে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ১৪২ জন। ফ্রান্সে কোভিড-১৯-এর প্রকোপ বাড়ায় স্টাফদের অনুরোধের কারণে প্যারিসের লুভর মিউজিয়াম বন্ধ রাখা হয়েছে। চেক প্রজাতন্ত্র, স্কটল্যান্ড ও ডমিনিক রিপাবলিকেও প্রথম করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া দেশটিতে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে ১১২ জনের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার ঘটনায় ভ্রমণ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল, নেওয়া হয়েছে জরুরি ব্যবস্থা। যুক্তরাষ্ট্রে এমন রোগীও আছেন যাঁরা কোনো করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেননি কিংবা করোনাভাইরাস আক্রান্ত কোনো দেশ ভ্রমণ করেননি। এসব ব্যক্তি কীভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তা এখনো জানা যায়নি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে। বিশ্বব্যাপী যখন এমন পরিস্থিতি, তখন করোনার উৎপত্তিস্থল চীনের অবস্থা উন্নতির দিকে। সেখানে ধীরে ধীরে কমে আসছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে ভাইরাস থেকে নিস্তার নিয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার ঘটনাও। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের মুখপাত্র মি ফেং বলেন, বিগত কয়েক সপ্তাহের চেয়ে এখন কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের সুস্থতার হার বেড়েছে। চীনে আক্রান্তদের মধ্যে ৫২ শতাংশই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এতে এটা বোঝা যাচ্ছে যে, ভাইরাস প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে। আমাদের চিকিৎসাও ভাইরাস নির্মূলে কাজে দিচ্ছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ দল বলছে, রোগীদের আলাদা পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দিলে চীনের মতো অন্য দেশগুলো প্রাণঘাতি ভাইরাসটি নির্মূলে সক্ষম হবে।