আশাশুনির নাকনায় ৩ বাড়ি ও ২ দোকান ভাংচুর ও লুটপাট

0
232

আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নে ৩টি বাড়ি ও ২টি দোকানে গভীর রাতে হামলা চালিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাত্র ১০টার দিকে প্রতাপনগর ইউনিয়নের নাকনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নাকনা গ্রামের মৃত আনছার আলী পাড়সহ হামলার স্বীকার পরিবারের পুরুষ ও মহিলারা জানান, ঘটনার রাতে তারা বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত্র ১০ টার দিকে যখন চাঁদের আলোয় পরিস্কার দেখা যাচ্ছিল। তখন একই গ্রামের সামাদ পাড়ের পুত্র জাহাঙ্গীর, মতি পাড়ের পুত্র শওকত, আবু সুফিয়ান ও রোকন, গনি পাড়ের পুত্র তরিকুল, দলু পাড়ের পুত্র মারুফসহ তাদের সহযোগিরা মঈনুদ্দীন পাড়, জামাল পাড় ও মুকুল পাড়ের বাড়িঘর এবং লাল চাঁদ পাড় ও জামাল পাড়ের দোকানে হামলা চালায়। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ঘরের ছাউনি ভেঙ্গে তছনছ করে দেয়। ভয়ে বাড়িতে থাকা লোকজন বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে অপর দিকদিয়ে পালাতে থাকে। এসময় আক্রমনকারীরা টিভিসহ ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে। নগদ ৫৫ হাজার টাকা, সাড়ে ৩ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার, বস্তাবন্দি ধান ও একটি কালার টিভি লুট করে নিয়ে যায়। তাদের মারপিটে মহিলাসহ কয়েকজন আহত হয়। একঘন্টা ধরে তারা আক্রমণ ও লুটপাট চালয়। ঘটনা শুরুর পরপরই বাড়ির লোকজন ৯৯৯ নম্বরে অভিযোগ করলে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয়। আক্রমনকারীরা লুটপাট করেও ক্ষান্ত হয়নি। বরং পথে বের হলে খুন করে লাশ গুম করার হুমকী দিচ্ছে বলে অগনিত মানুষের সামনে ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করেন। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।
উল্লেখ্য, বাদী পক্ষ নাকনা মৌজায় ওয়ারেশ ও ক্রয়সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে পাকা ঘরবাড়ি বেধে, গাছগাছালি, পুকুর খনন, গোয়ালঘর, শৌচাগার স্থাপনসহ সেখানে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছেন। অভিযুক্তরা উক্ত জমি দখলের পায়তারা ও হুমকী প্রদর্শন করলে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সাতক্ষীরায় ১৬ আগষ্ট পি- ৩৮৭/২০২৯ (আশাঃ) মামলা রুজু করেন মঈনুদ্দীন পাড়। এতে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ২৫ আগষ্ট হত্যার চেষ্টাসহ হামলা চালালে গুরুতর আহতকে হাসাপাতালে ভর্তি এবং বিজ্ঞ আমলী আদালত ৮নং এ পৃথক মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত ডিবি পুলিশের উপর তদন্তভার প্রদান করেন। কিন্তু তাতেও ক্ষান্ত হননি বিবাদী পক্ষ বরং ২৯ সেপ্টেম্বর শফিকুল পাড়কে তারা কুপিয় জখম করে। তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং পৃথক অভিযোগ করা হয়েছে। এব্যাপারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বাদীপক্ষকে স্বপরিবারে নিরাপত্তা বিধানের জন্য জোর দাবি জানান হয়েছে।