মোরেলগঞ্জে টানা ৫দিনে জোয়ারের পানিতে জনজীবন বিপর্যস্ত

0
196

মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি:
শুক্রবার জোয়ারের সাথে গত টানা ৫ দিনের বৃষ্টির কারনে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌরসভা সহ উপজেলা প্রত্যন্ত অঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের হাজারো পরিবার। এর কারনে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম বিপর্যয়। বৃষ্টি আর পানির চাপ আরো দীর্ঘ হলে মানুসের পানিবাহিত রোগ জমির রোপা আমন বীজতলা ও সবজি ক্ষেতের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
পানিতে প্লাবিত হয় রাস্তা-ঘাট আর বাজারের অলিগলি। ব্যবসায়ীরা দোকানে হাত-পা গুটিয়ে পানিতে নেমে যাবার অপেক্ষায় ঘন্টার পর ঘন্টা গুণতে হয় প্রহর। ক্রেতা-বিক্রেতারা কেউবা হাঁটু পানি ভেঙ্গে, কেউবা ভ্যান মটর সাইকেলে ছুটছে। পৌর সদরের বারইখালী পুরাতন থানা ও ফেরিঘাট এলাকায় পানগুছি নদীর স্্েরাত আছড়ে পড়ছে রাস্তায় উপরে। হুহু করে ঢুকে পড়ছে পানি লোকালয়। কালাচাঁদ মাজার এলাকার ¯øুইজ গেট দীর্ঘদিন অকেজো। পৌর বাজারের ড্রেনের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে স্বাভাবিক জোয়োরেও রাস্ত-ঘাট প্লাবিত হয়। ডুবে গেছে উপজেলা খাদ্য গুদাম এলাকা।পৌর মেয়র এ্যাড.মনিরুল হক তালুকদার জানান, জোয়ারের পানিতে পৌর সভার ১৮ কিমি. রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজন শহর রক্ষা বাঁধ। বারইখালী ইউনিয়নের পানগুছি নদীর তীরবর্তী ফেরিঘাট থেকে কাশ্মীর হয়ে বহরবুনিয়া ফুলহাতা পর্যন্ত প্রায় ৫/৬ কিমি. রাস্তার ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়েছে বলে ইউনিয়ন চেযারম্যান শফিকুর রহমান লাল ও টি এম রিপন জানান। জোয়ারের পানিতে রোপা াআমন ক্ষেত ঢুবে গেছে। তেলিগাতি ইউপি চেয়ারম্যান মোর্শেদা আক্তার বলেন, হেড়মা হরগাতি ¯øুইজগেট সংলগ্ন ১কিলোমিটার ইটসোলিং রাস্তাটি প্লাবিত হয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
পঞ্চকরণ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার বলেন, জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারনে দেবরাজ ৬ কিলোমিটার ভেরিবাঁধ ভেঙ্গে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পঞ্চকরণ বাজার থেকে ৪কিলোমিটার ভেরিবাঁধ আংশিক ভেঙ্গে পড়েছে।
হোগলাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো.আকরামুজ্জামান জানান, নদীর তীরবর্তী বদনিভাঙ্গা থেকে পাঠামারা পর্যন্ত ৪কিলোমিটার রাস্তাটি নর্দীগভে বিলীন হয়েছে।
সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ আলী জানান, নদীর তীরবর্তী গাবতলা কাঠালতলা ২ গ্রামের ৪০/৫০টি পরিবার পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত রাস্তাঘাট নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। প্রয়োজন ৩ কিমি. বেড়িবাঁধ।
উপজেলা কৃষি অফিসার রেহেনা পারভীন জানান, বৃষ্টি ও অতিরিক্ত জোয়ারের পানি আরো দীর্ঘ হলে ৬শ হেক্টর রোপা আমনের বীজতলা ও ২শ’হেক্টর সবজি ক্ষেতের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে ফসল।