খান সাহেব কোমর উদ্দীন ডিগ্রি  কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

0
29
টাইমস ডেস্ক
খুলনার কয়রায় খান সাহেব কোমর উদ্দীন কলেজের অধ্যক্ষ ড. চয়ন কুমার রায়ের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি,শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য,জমির বায়না বাবদ ভূয়া ভাউচার তৈরী,শিক্ষকদের বোনাসের ভূয়া ভাউচার তৈরি,কলেজ ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ, কর্মচারীদের নামীয় লোন আত্মসাৎ, ভূয়া সার্টিফিকেট তৈরী সহ নানা অনিয়মের অভিযোগে উঠেছে।
এ বিষয়ে সোমবারব (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টায় খান সাহেব কোমর উদ্দীন কলেজের মুল ফটকের সামনে কলেজের  শিক্ষক,শিক্ষার্থী, অভিভাবকবৃন্দ ও এলাকার সুশীলসমাজের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খান সাহেব কোমর উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর চয়ন কুমার রায়।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন,খান সাহেব কোমর উদ্দীন কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে ড. চয়ন কুমার রায় ২০১৭ সালে যোগদানের পর থেকে কলেজ পরিচালনার নীতিমালাকে অবজ্ঞা করে নানা অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পড়েন।তিনি কলেজের ব্যাংক একাউন্ট থেকে ৮ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা উত্তোলন করে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা ক্যাশে জমা দিয়ে বাকী টাকা আত্মসাৎ করেন।কলেজের নামে জমি ক্রয়ে বায়না বাবদ স্হানীয় এক ব্যক্তির নামে ভূয়া ভাউচার করে ১ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। জায়গীরমহল গ্রামের কামরুল গাজীর ভাগ্নেকে চাকুরী দেওয়ার নামে ১ লক্ষ টাকা ঘুষ গ্রহণ, কলেজের শিক্ষকদের বোনাসের নামে ভূয়া ভাউচার দেখিয়ে ২ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ। অত্র কলেজের শিক্ষীকা পাপিয়ার নিকট থেকে সুকৌশলে ১৫ লক্ষ টাকা ব্যাংক লোন করিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেন।চাকুরী দেওয়ার নামে স্হানীয় সাবেক ইউপি সদস্য কৃঞ্চপদ এর নিকট থেকে ২৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন।এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করেন বলে মানববন্ধনে বক্তরা বলেন। এসময় অধ্যক্ষ ড. চয়ন কুমার রায়কে অবিলম্বে বহিষ্কার সহ গ্রেফতারপূর্বক আইনগত ব্যবস্হা গ্রহণের দাবী জানান বক্তরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খান সাহেব কোমর উদ্দীন কলেজের এক ছাত্রী মুঠোফোনে এই প্রতিবেদকে বলেন,আপনারা শিক্ষিত মানুষ। সবই আপনারা বোঝেন।সব কিছু আপনাদের খুলে বলা লাগবে কেনো। উনি(অধ্যক্ষ সাহেব) আমার সাথে বিভিন্ন সময়ে আপত্তিকর কথা বলতেন।
 এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে খান সাহেব কোমর উদ্দীন ডিগ্রী  কলেজের অধ্যক্ষ ড.চয়ন কুমার রায় বলেন.ষড়যন্ত্রমূলক ওই  মানববন্ধনে আমার কলেজের কোন শিক্ষক  শিক্ষার্থী অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন না। আমরা পারিবারিকভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত বিগত জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা জায়গা জমি সংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ রাজনৈতিক সংক্রান্ত আন্ত কোন্দলে  প্রতিপক্ষরা আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে অব্যাহতভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে তারই অংশ হিসাবে আজকের এই ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মানববন্ধনের নামে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে।
খান সাহেব কোমর উদ্দীন কলেজের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডাঃ খান আহমেদ হেলালী বলেন,অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আছে।অধ্যক্ষ চয়ন কুমার রায়ের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ রয়েছে।বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।যা পরিচালনা কমিটিও অবগত রয়েছে।তদন্তের রায় পেলে আইনগত ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here