সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অভিযানে ৪টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার ৩

0
25

নিজস্ব প্রতিবেদক
কেএমপি’র সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশ কর্তৃক গত ২৪ ঘন্টায় ৪ টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার সহ আন্ত:জেলা চোর চক্রের ৩ জন সদস্য গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (১০ এপ্রিল) দুপুর ৩টা ১৫ মিনিটে কেএমপি’র সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম—সেবা সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশ কর্তৃক গত ২৪ ঘন্টায় ৪ টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার সহ আন্ত:জেলা চোর চক্রের ৩ জন সদস্য গ্রেফতার সংক্রান্তে প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদিকবৃন্দের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন।


গত ৮ এপ্রিল খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা থানাধীন নিউমার্কেট এলাকায় পুলিশ টহল এবং পেট্রোল ডিউটিকালীন বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে বাটার মোড় থেকে ঝিনাইদহ—ল—১১—১৯৯৫ পালসার ১৫০ সিসি বাইক হারানোর সংবাদ পায়। তাৎক্ষণিক সোনাডাঙ্গা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাটার মোড় থেকে নিউমার্কেটগামী সড়কের ওরিয়ন জুতার শো—রুমের সামনে থেকে চোরাই বাইকসহ মোঃ অহিদুল শেখ(২৭) নামক একজন চোরকে হেফাজতে নেওয়া হয় এবং পিসিপিআর যাচাই করে ৩নং আসামী মোঃ অহিদুল শেখ(২৭) এর নামে খুলনা, গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট এবং মেট্রোপলিটন এলাকায় সর্বমোট ৯ টি চুরি মামলা পাওয়া যায়। উক্ত আসামী মোঃ অহিদুল শেখ এর নিকট হইতে প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার একটি চৌকস টিম কর্তৃক বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই প্রেক্ষিতে যশোর জেলার শার্শা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১নং আসামী মোঃ সফিয়ার রহমান এর নিকট হতে ১ টি পালসার ১৫০ সিসি মোটর সাইকেল যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উদ্ধার করা হয়। ২নং আসামী মোঃ সুজন হোসেন এর নিকট থেকে ১ টি আরটিআর ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে কেএমপি’র খুলনার সোনাডাঙ্গা থানা এলাকা এবং খুলনা জেলার রূপসা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। ৩নং আসামী মোঃ অহিদুল শেখ এর নিকট থেকে আরও ১ টি আরটিআর ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল সর্বমোট ৪ টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম—সেবা বলেন, “খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ অপরাধ দমন, আইন—শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং নগরবাসীর সেবায় সদাসর্বদা তৎপর। আমরা রমজানের শুরু থেকে এবারে ঈদ উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এই নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গুলোর মধ্য রয়েছে ট্রাফিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, ফুটপথ পুনরুদ্ধার, বিভিন্ন মার্কেটগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং রাত্রিকালীন চেকপোস্ট এবং টহলের মাধ্যমে যখন দোকানপাট ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে তার নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সেই অনুযায়ী আমরা তিন সড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি এবং এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঈদের আগের দিন চাঁদ রাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। ইতোমধ্যেই খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অভিযানে মাদক, জঙ্গি, অস্ত্র, গোলাবারুদ, চোরাই মোটর সাইকেল, অনলাইন জুয়াড়ি, ভূমিদস্যু ও কিশোর গ্যাং সংক্রান্তে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন থানার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে চেক পোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য খুলনা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা তৎপরতাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়াও পবিত্র মাহে রমজান এবং আসন্ন ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকায় আইন—শৃঙ্খলা রক্ষার্থে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ নজরদারী বৃদ্ধি, টহল জোরদার এবং চেকপোস্ট পরিচালনা সহ বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
উল্লেখ্য যে, গত ১ আগস্ট ২০২৩ হতে অদ্য ৯ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করিয়া সর্বমোট ৫৪ টি চোরাই মোটরসাইকেল, ৩০ টি ইজিবাইক ও ৩ টি সিএনজি উদ্ধার করা হয়েছে। উক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীত্রয়কে জিজ্ঞাসাবাদ চলমান রয়েছে, পুলিশ রিমান্ডে এনে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করে চোরাই মোটরসাইকেল এর রহস্য উদঘাটন করে এই প্রক্রিয়ায় যারা জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আসন্ন ঈদসহ সামনের দিন গুলোতে খুলনা মহানগরীর সম্মানিত নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্ত:জেলা চোর চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
এ সময় কেএমপি’র ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম; সহকারী পুলিশ কমিশনার (সোনাডাঙ্গা জোন) মোঃ আবু নাসের আল—আমিন এবং সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান—সহ পুলিশ অফিসারবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদিকবৃন্দের উপস্থিত ছিলেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here