সরকারি চাকরি আইনের ৭টি ধারা বাতিল চেয়ে নোটিশ

0
280

খুলনাটাইমস: সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর সাতটি ধারা বাতিল/প্রত্যাহার চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল (আইনি) নোটিশ পাঠানো হয়েছে। গতকাল রোববার ডাক ও রেজিস্ট্রিযোগে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এই নোটিশ পাঠান। আগামি সাতদিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নেয়া হলে তিনি হাইকোর্টে রিট করবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি সচিবালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব এবং আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশ পাঠানোর পর অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর অফিসিয়াল গেজেটে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ প্রকাশিত হয়। ওই আইনের বিভিন্ন ধারা যথা: ৫(২), ২৪(১,৩), ৩৫, ৩৯ (১,২), ৪২ (১,২,৪), ৫১ (৪) এবং ৫৫ এর বিধানাবলিতে সরকারি চাকরিজীবীদের বিভিন্ন অধিকারের তারতম্য ঘটিয়ে এবং বিদ্যমান বিভিন্ন আইনের শর্তাবলির ব্যত্যয় ঘটিয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ১ অক্টোবর থেকে আইনটি কার্যকর করা হয়। ‘আইনটির ধারা ৫(২) এ সরকারি কর্মচারীদের কাজের শর্তাবলির তারতম্যের বিধান করা হয়েছে। ধারা ২৪(১) এবং ৪২ (১,২)-এ আদালত অবমাননা আইনের বিধানের বিপরীতে বিধান করে আদালত অবমাননার আইনকে অকার্যকর করা হয়েছে। অন্যদিকে ধারা ৩৯-এ ফৌজদারি মামলার অভিযুক্ত কোনো কোনো সরকারি কর্মচারীকে বরখাস্তের বিষয়ে বিদ্যমান আইনের বরখেলাপ করে সরকারের হাতে অবাধ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ধারা ৫১(১) এ দ-প্রাপ্ত/ অসদাচরণে দোষী সাব্যস্ত কোনো সরকারি কর্মচারীর অবসর সুবিধা বাতিলের বিধান রাখা হয়েছে। উপরন্তু রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ না রেখে ধারা ৩৫ এর বিধান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এসব বিধানাবলি সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ ও ৩১ অনুচ্ছেদসহ বিদ্যমান অনেক আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে করা হয়েছে।