শিরোমণিতে নববধূকে ধর্ষণের চেষ্টা মামলায় ১২ দিনেও আসামি আটক হয়নি

0
371

কাজী আজাদুর রহমান হিরোক, খানজাহান আলী থানা:
খানজাহান আলী থানাধীন শিরোমণি দক্ষিণপাড়ায় নববধূ(২০)কে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়েরের ১২ দিন অতিবাহিত হলেও আসামি আটক করতে পারেনি পুলিশ, মামলার এজাহারে উল্লেখ শিরোমণি চৌধুরী ফার্মেসীর মালিক মোঃ ইমন চৌধুরী (৫০) গত ২৪ আগষ্ট ইমন চৌধুরীর ভাড়াটিয়া নববধূ শারীরীক ভাবে অসুস্থ হওয়ায় চৌধুরী ফার্মেসীতে চিকিৎসা নিতে আসে, এসময় ইমন চৌধুরী পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কিছু ঔষধ খাওয়ার পর কোন পরিবর্তন না হওয়ায় ঐ দিন রাত সাড়ে ৮ টায় পূনরায় ফার্মেসীতে যায়, সেখানে যাওয়ার পর একটি ইঞ্জেক্শান পুশ করে বাড়ি ফিরে আসে, পরের দিন ২৫ আগষ্ট রাত ১০ টায় শারীরীক অবস্থা আরোও খারাপ হলে পূর্বের ঔষধ গুলি সেবন করতে বলে ইমন। ঔষধ খেয়ে আরোও বেশী অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত সাড়ে ১০ টায় ইমন তার বাড়ীর নিচ তলার একটি রুমে থাকতে দেয়। ইমন চৌধুরী তার স্ত্রী প্রিয়াকে নিয়ে তার নিজের রুমে থাকে, গৃহবধূ বেশী অসুস্থ থাকায় রাত ৩ টায় জাপ্টে ধরে, তার আত্মচিৎকারে ইমনের স্ত্রী প্রিয়া নববধূকে এসে উদ্ধার করে তার রুমে নিয়ে যায়। পরের দিন ২৬ আগষ্ট সকাল ১১ টায় জ্ঞান ফিরে নববধূ দেখতে পায় দিঘলিয়া উপজেলার ইমনের বড় ভাই হেমায়েত চৌধুরীর বাড়ীতে। ইমনের স্ত্রী প্রিয়া জানান গৃহবধূও তার স্বামী আলামিনের সাথে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে । এসময় গৃহবধূকে উদ্ধার করে আমার রুমে নিয়ে আসে। ২৭ আগষ্ট সকালে স্বামী স্ত্রীর বিবাধ মিমাংশা করে স্বামীর বড় ভাই হেমায়েত চৌধুরীর কামারগাতী বাড়ীতে পাঠাই। সেখানে সপ্তাহ খানেক থাকার পর স্বামী স্ত্রী ও তার মা কাজল শিরোমণি এলাকায় আসে এবং বিভিন্ন ভাবে ব্লাকমেইল করার চেষ্টা চালায় ও ইমন চৌধূরীর কাছে বিভিন্ন ভাবে ৫লাখ টাকার দাবী করে। উক্ত দাবীকৃত টাকা না দেয়ায় এক মাস পরে এসে একটি ষড়যন্ত্রমুলক মামলা করে, যেটা সুষ্ঠতদন্ত করলে প্রকৃত গঠনা বেরিয়ে আসবে। ইমন চৌধুরীর বড়ভাই হেমায়েত চৌধুরী জানান গৃহবধুর স্বামী আল আমিন শিশু কাল থেকে আমাদের বাড়ীথেকে মানুষ হয়েছে, সে থেকে আমরা তাকে আমাদের পরিবারের সদস্য হিসেবে গন্য করি। ২৭ আগষ্ট থেকে তারা স্বামী স্ত্রী আমার বাড়ীতে ছিল এবং তাদের সাথে এ জাতীয় ঘটনা ঘটেছে সেটা আমাকে জানাইনি। আমার বাড়ী থেকে চলে যাওয়ার ২/৩ দিন পর মোবাইল ফোনে আমার ভাই আমাকে উক্ত ঘটনা জানায় । যেটা সম্পুর্ণ একটি সাজানো নাটক বলে আমার ধারনা। এঘটনায় খানজাহান আলী থানায় মোঃ ইমন চৌধুরীকে আসামী করে একমাস পরে নববধু বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন, যার নং-৭, তাং-২৩/৯/১৯। খানজাহান আলী থানার এসআই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবেশ কুমার মন্ডল জানান আসামীকে আটকের ব্যাপারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।