নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনাটাইমস:
খুলনা জেলা সদর কোর্টের পুলিশ ইন্সপেক্টর এর মুন্সী প্রভাষ চন্দ্র মল্লিক (কং নং-১০৫১) ও জিআরও রূপসা কোর্টের এএসআই দীপংকরকে গত ২৭ জানুয়ারি শাস্তিমূলক বদলির নির্দেশ প্রদান করা হয় । এর মধ্যে একজনের বদলির আদেশ ৭২ ঘন্টার মধ্যে স্থগিত হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্লা বুধবার রাতে বলেন, এএসআই দীপংকরের বদলির আদেশ স্থগিত করা হয়েছে।
সূত্র মতে, গত ২৭ জানুয়ারি ৫৬৯/১(৪) স্মারকে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় প্রেরিত এক বদলির আদেশে জেলা কোর্ট হতে পুলিশ ইন্সপেক্টরের মুন্সী প্রভাষ ম-লকে (কং ১০৫১) প্রশাসনিক কারণে তাকে ভা-ারকোর্ট ক্যাম্পে বদলির নির্দেশ প্রদান করেন। একই স্মারকে জেলা কোর্টের জিআরও রূপসা কোর্টের এএসআই দীপংকরকে প্রশাসনিক কারণে তাকেও পুঁটিমারি ক্যাম্পে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ৭২ ঘন্টার মধ্যে এএসআই দীপংকরের বদলির আদেশ স্থগিত করা হয়। যার স্মারক নং-৬২৫(২)।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি দৈনিক প্রবাহ পত্রিকায় প্রভাষের বিরুদ্ধে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ ও একই স্থানে দীর্ঘ বছর ধরে চাকরির সুবাদে ক্ষমতার অপব্যবহার করাসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছেন জেলা কোর্টের দায়িত্বরত কতিপয় জিআরও। ওই সব অভিযোগের বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর পুলিশের হেডকোয়ার্টার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) ওয়াসিম ফিরোজ তদন্ত শুরু করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে তিনি অভিযুক্তদেরকে বদলির সুপারিশ করেন। এরই প্রেক্ষিতে জেলা কোর্টের মুন্সী প্রভাষ ও রূপসা থানার জিআরও এএসআই দীপংকরকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৭২ ঘন্টা যেতে না যেতেই এএসআই দিপংকরের বদলির আদেশ স্থগিত করা হয়।
জানা গেছে, পুলিশ প্রশাসনের একই স্থানে দীর্ঘদিন থাকার নিয়ম নেই। সেই জায়গা থেকে ওই সব কর্মকর্তাকে সরকারি চাকরি নীতিমালা অনুযায়ী বদলি করতে হয়। দেখা গেছে, জেলা সদরের মুন্সী কনস্টেবল প্রভাষ ৮-৯ বছর একই স্থানে রয়েছেন। জিআরও রূপসা কোর্টের এএসআই দীপংকর। সে কনস্টেবল পদে থাকার পর থেকে এখন পর্যন্ত একই স্থানে তার ১৪-১৫ বছর কেটে গেছে। কিন্তু তাকে বদলি করা হয়নি। এছাড়া আরও উপজেলার জিআরও কয়েক বছর ধরে একই স্থানে কর্মরত আছেন। একই স্থানে দীর্ঘ বছর থাকার সুবাদে তারা বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়ছেন।
