শ্বাসরুদ্ধকর জয় জিম্বাবুয়েকে আবারো হোয়াইটওয়াশে আত্মবিশ্বাসী করেছে : মাশরাফি

0
369

খুলনাটাইমস স্পোর্টস : জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩২২ রান করে এক পর্যায়ে সহজ জয় দেখছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু অষ্টম উইকেটে ৪৪ বলে ৮০ রানের ঝড়ো জুটি গড়েন তিনোতেন্ডা মুতোমবদজি ও ডোনাল্ড তিরিপানো। বাংলাদেশের মাটিতে অষ্টম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড এটি। এই জুটিতেই হারতে বসা ম্যাচে জয় দেখতে শুরু করে জিম্বাবুয়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি আর সম্ভব হয়নি। উত্তেজনা ছড়িয়ে ৪ রানে ম্যাচ হারে জিম্বাবুয়ে। তাই এক ম্যাচ বাকী রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলে বাংলাদেশ। এমন শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে টাইগাররা। টানা চতুর্থবার মত জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। সিলেটে দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ ৮ উইকেটে ৩২২ রান করে বাংলাদেশ। ১৫৮ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। এটি তার ক্যারিয়ারের ও বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ডও। তামিমের ব্যাটিং ও বোলারদের বোলিংএ নিশ্চিত জয়ের দিকেই এগোচ্ছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ দিকে, নয় নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে ২৮ বলে অপরাজিত ৫২ রান করে বাংলাদেশকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন তিরিপানো। অবশ্য শিশিরের কারনে বল ধরতেও সমস্যা হচ্ছিলো বাংলাদেশ বোলারদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জিতেই মাঠ ছাড়তে পারে বাংলাদেশ। তাই আবারো জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে মাশরাফি বাহিনী। শেষ ওয়ানডেতে পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, জয়ের ব্যাপারে আশাবাদি দল। শেষ তিন দ্বিপাক্ষীক সিরিজেই জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। এমনকি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা ১৫ ম্যাচ জয়ের নজিরও গড়েছে টাইগাররা। জিম্বাবুয়েকে হারাতে দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই আত্মবিশ্বাসী ছিলো। কিন্তু জিম্বাবুয়েকে নিয়ে সর্তক ছিলেন কেবল অধিনায়ক মাশরাফিই। জিম্বাবুয়েকে সহজভাবে নেননি তিনি। ম্যাশ বলেছিলেন, বাংলাদেশকে হারানোর সামর্থ্য রয়েছে জিম্বাবুয়ের। কারন সম্প্রতি বেশ কিছু ম্যাচে তারা ভালো ক্রিকেট খেলেছে। মাশরাফির এমন বক্তব্যের সাথে দ্বিতীয় ম্যাচটি মিলে গেছে। কারন বাংলাদেশকে হারানোর সামর্থ্যরে প্রমান দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। মাশরাফি বলেন, ‘আমি মনে করি, জয়তো জয়ই। কিন্তু খুবই কঠিন একটি জয় ছিলো। তবে আমরা শক্তভাবে ধৈর্য্যধারন করে ম্যাচ জিতেছি। এই জয়টি আমরা পরের ম্যাচে নিয়ে যাবো।’ দ্বিতীয় ম্যাচে মুস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে বিশ্রাম দিয়েছিলো বাংলাদেশ। তাদের পরিবর্তে খেলতে নামা আল-আমিন হোসেন ও শফিউল ইসলাম বল হাতে ভালো করতে পারেননি। কিন্তু আল-আমিন ও শফিউলের পাশে দাঁড়ান অধিনায়ক মাশরাফি। তিনি জানান, শিশিরের কারনে বল ধরতে সমস্যা হচ্ছিলো। একই সাথে, কঠিন পরিস্থিতিতে দারুনভাবে ম্যাচ জয়ের জন্য দলের প্রশংসাও করেছেন মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘ম্যাচ শেষে সকলেই বোলিং নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছে। এটি ভালো উইকেট ছিলো। কিন্তু কিছু শিশিরও ছিলো। যা বোলারদের কাজটা কঠিন করে দিয়েছে। তীব্র লড়াইয়ের পর ম্যাচ জয়ে সামনে এগিয়ে যেতে আত্মবিশ্বাস অনেকখানি বেড়ে যায়। আগামী শুক্রবার তৃতীয় ও ফাইনাল ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। যদিও স্বাগতিকদের জন্য ম্যাচটি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু জিম্বাবুয়েকে আবারো হোয়াইটওয়াশ করা ও টানা ১৬টি জয়ের দিকেই চোখ টাইগারদের।