শরীয়তপুরে পুলিশকে মারধর করে ভাইকে ছিনিয়ে নিলেন চেয়ারম্যান

0
178

খুলনাটাইমস: শরীয়তপুর সদর উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের চিকন্দী গ্রামে পুলিশকে মারধর করে ভাইকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে চিকন্দী পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইনচার্জ) মো. ফারুক আহম্মেদ বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াছিন হাওলাদার ও তার ছোট ভাই মোজাম্মেল হাওলাদারসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে পালং মডেল থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সদর উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের চিকন্দী গ্রামে স¤প্রতি মানসিক ভারসাম্যহীন রাজ্জাককে প্রতিবেশী সোহাগ হাওলাদার, ইতি বেগম, ইমা আক্তার ও রহিমা বেগম মারপিট করে জখম করেন। এ ঘটনায় আহত রাজ্জাকের মা করিমনন্নেছা পালং মডেল থানায় অভিযোগ করেন। গত সোমবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে বিষয়টি তদন্ত করতে যান চিকন্দী পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইনচার্জ) মো. ফারুক আহমেদ ও এটিএসআই জ্যোতির্ময়। তাদের উপস্থিতিতেই শৌলপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইয়াছিন হাওলাদারের ভাই মোজাম্মেল হাওলাদার বাদী করিমনন্নেছাকে মারধর করেন। পরে মোজাম্মেল হাওলাদারকে আটক করতে গেলে পুলিশ পরিদর্শক ফারুক আহমেদ ও এটিএসআই জ্যোতির্ময়কে মারধর করে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে চেয়ারম্যান ইয়াছিন হাওলাদার তার ভাইকে ছিনিয়ে নিয়ে যান বলে অভিযোগ পুলিশের। চিকন্দী পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইনচার্জ) ফারুক আহম্মেদ বলেন, পালং থানার নির্দেশে একটি অভিযোগের তদন্ত করতে ওই এলাকায় যাই। আমার উপস্থিতিতেই চেয়ারম্যানের ভাই বাদীকে মারধর করেন। আমি চেয়ারম্যানের ভাইকে আটক করতে গেলে চেয়ারম্যানসহ বেশ কয়েকজন আমার সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে এবং এটিএসআই জ্যোতির্ময়কে মারধর করে মোজাম্মেলকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। তবে শৌলপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইয়াছিন হাওলাদার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে আমার ভাইকে ছিনিয়ে নেইনি। পুলিশের সঙ্গে আমাদের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পুলিশকে সহায়তা করতে গিয়ে উল্টো আমি ফেঁসে গেছি। পালং মডেল থানা পুলিশের ওসি মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, একটি মামলার তদন্ত করতে গেলে ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ভাইয়েরা পুলিশকে মারধর করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।