যশোর বোর্ডে শীর্ষে খুলনার কলেজগুলো

0
1596
নিজস্ব প্রতিবেদক:
যশোর বোর্ডের মধ্যে গত বছরের মতো সবচেয়ে ভালো করেছে খুলনা জেলার কলেজগুলো। এ বছর খুলনার ৯৯টি কলেজ থেকে ২০ হাজার ৪২৪  জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১৩ হাজার ৯৮০ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৭ হাজার ৩০ জন ছেলে ও ৬ হাজার ৯৫০  জন মেয়ে। জেলায় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ।  বোর্ডে পাসের হার ৬০ দশমিক ৪০ শতাংশ। গত বছর জেলায় পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ। ২০১৬ সালে ছিল ৮৭ দশমিক ৯০ শতাংশ।
যশোর বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পাসের হারে বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে খুলনার পর  ৬৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ হারে  যশোর দ্বিতীয়, ৬১ দশমিক ৪২ শতাংশ হারে কুষ্টিয়া তৃতীয় এবং ৫৯ দশমিক ৯৬ হারে সাতক্ষীরা চতুর্থ স্থানে আছে। বোর্ডে সর্বনিম্ম ৪৯ দশমিক ৪০ পাশের হার মাগুরায়।
বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৮৯ জন। এবছর বোর্ডে মেয়েদের পাসের হার ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ আর ছেলেদের ক্ষেত্রে তা ৬৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ। গতবছর পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৪২ শতাংশ ও জিপিএ-৫ ছিল ২ হাজার ৪৪৭ জন।
২০১৭ সালে খুলনার যেসব কলেজ ভালো করেছিল সেগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত দিনে বোর্ডে শীর্ষে অবস্থান করা কলেজগুলো এবারও ভালো ফলাফল করেছে। তবে পাশের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়ার হার গতবারের চেয়ে কমেছে। খুলনা সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ, খুলনা পাবলিক কলেজ, , খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ, পাইওনিয়ার সরকারি বালিকা মহাবিদ্যালয়, এমসিএসকে সেরা তালিকায় রয়েছে।
এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক থেকে জেলার শীর্ষে অবস্থান করছে খুলনা সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ। কলেজটি থেকে এ বছর ৪১৫ জন  জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।  গতবছর এই কলেজ থেকে ৩০০ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিল। সিটি কলেজ থেকে এ বছর পরীক্ষা দিয়েছে ৮১৯ জন। তাদের মধ্যে পাস করেছে ৭৭৫  জন। পাসের হার  ৯৪ দশমিক ৬৩। এবার জিপিএ ৫ বাড়লেও পাসের হার কমেছে। গতবার পাসের হার ছিল ৯৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ। অন্যদিকে খুলনা শহরের কলেজগুলোর মধ্যে চলতি বছর পাসের হারের দিক থেকে শীর্ষে অবস্থান করছে খুলনা পাবলিক কলেজ। এই কলেজ থেকে ৪০২ জন পরীক্ষা দিয়ে ৩৯৯ জন পাস করেছে। পাসের হার ৯৯ দশমিক ২৫  শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১২১ জন। গতবছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১২৮ জন। রূপসা উপজেলার সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ ২০১৬ সালে   ৯৯ দশমিক ৮৫ পাশের হারে জেলায় শীর্ষে ছিল।জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩৩৬ জন। তবে গতবছর ৭৩ দশমিক ৬৫ পাসের হার নিয়ে জিপিএ ৫ পেয়েছিল মাত্র ১০ জন। এবছর ফল গতবছরের তুলনায় কিছুটা ভালো। এ বছর কলেজটি থকে ৭৫৯ জন পরীক্ষা দিয়ে ৮৫ দশমিক ৭৭ হারে ৬৫১ জন পাস করেছে। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫৪ জন। সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজ গত বছরের চেয়ে খারাপ করেছে। কলেজ  থেকে ৯৯১ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ২২৮ জন ফেল করেছে। পাসের হার ৭৭ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫ জন। গতবার পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৪২। জিপিএ ৫ পেয়েছিল ৩৮ জন। খুলনার মিলিটারি কলেজিয়েট স্কুল (এমসিএসকে) গতবারের চেয়ে ভালো করেছে। কলেজ  থেকে এবছর ৭০ পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪৮ জন। গতবছর ১৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল। খুলনা খুলনা কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২৯ জন পরীক্ষা দিয়ে শতভাগ পাস করেছে। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৭ জন।
এদিকে খুলনায় মেয়েদের কলেজের মধ্যে ভালো করেছে পাইওনিয়ার সরকারি গার্লস কলেজ। এখান থেকে ১ হাজার ৬২ জন পরীক্ষা দিয়ে ৯৬০ জন পাস করেছে। পাসের হার ৯০ দশমিক ৪০ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৭৯ জন। তবে গতবারের চেয়ে খারাপ হয়েছে ফল। গতবছর পাসের হার  ছিল ৯৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। জিপিএ -৫ পেয়েছিল ১১৩ জন। সরকারি মহিলা (বয়রা) কলেজ খুলনা থেকে ৫২৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৪৮০  জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৫ জন। পাসের হার ৯১ দশমিক ৬০  শতাংশ।  গত বছরের চেয়ে পাশের হার ও জিপিএ ৫ কমেছে কলেজটির। সরকারি বিএল কলেজ থেকে এবছর ৫৫৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪০৬ জন পাস করেছে। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩৫ জন। গতবারের চেয়ে পাসের হার কমলেও জিপিএ ৫ বেড়েছে। আযমখান সরকারি কমার্স কলেজ থেকে ৪২৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৩১৮ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। পাশের হার ৭৪ দশমিক ৮২ শতাংশ।  গত বছরের চেয়ে পাশের হার ও জিপিএ ৫ কমেছে কলেজটির।