মেক্সিকোয় মাদকবিরোধী যুদ্ধে নিখোঁজ ৬১ হাজারেরও বেশি

0
274

খুলনাটাইমস আর্ন্তজাতিক: শক্তিশালী মাদক চক্রের সঙ্গে মেক্সিকো সরকারের সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৬১ হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির সরকার জানিয়েছে, নিখোঁজদের মধ্যে এক চতুর্থাংশই নারী। নতুন তথ্য অনুযায়ী নিখোঁজ মানুষ সংখ্যা পূর্বের ধারণার চেয়ে ৫০ শতাংশেরও বেশি। ২০০৬ সালে মেক্সিকোতে মাদকবিরোধী যুদ্ধে নামানো হয় সেনাবাহিনীকে। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফেলিপ চালডেরন ২০০৬ সালের শেষ দিকে সাড়ে ছয় হাজার সেনা সদস্যকে মিচোয়াচান রাজ্যে মোতায়েন করেন। সরকারি তথ্য অনুসারে, ওই বছর ১১ হাজার ৮০৬টি হত্যাকাণ্ড ঘটে, ২০১৬ সালে গুমের সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার ৩৪০টি। অপরাধীচক্র, সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ রয়েছে। ২০১৭ সালে গুমের সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার। মেক্সিকোর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মতে, গুম হওয়া ব্যক্তিদের জীবিত বা মৃত খুঁজে পাওয়ার ছিল তখন মাত্র ২৫ শতাংশ। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে মেক্সিকোর ন্যাশনাল রেজিস্ট্রি অব মিসিং এর প্রধান কারলা কুইনতানা বলেন, সরকারি হিসেবে নিখোঁজ মানুষের সংখ্যা ৬১ হাজার ৬৩৭ জন। নিখোঁজদের ৯৭ দশমিক ৪ শতাংশেরও বেশি ২০০৬ সালে মাদকবিরোধী যুদ্ধ শুরুর পর নিখোঁজ হয়েছে। ২০১৮ সালে মেক্সিকোর বর্তমান প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোর দায়িত্ব নেয়ার পর মাদকবিরোধী যুদ্ধে নতুন কৌশল নেন। তার প্রশাসন মাদকচক্রের সঙ্গে ‘গুলি নয়, আলিঙ্গন’ নীতি গ্রহণ করে বৈষম্য ও দুর্নীতি মোকাবিলায় মনোনিবেশ করেন। তবে তার পরেও থামেনি মৃত্যুর মিছিল। গত বছরও দেশটিতে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। মেক্সিকোর কর্মকর্তারা বলছেন, নিখোঁজদের উদ্ধার তৎপরতায় এখন পর্যন্ত ৮৭৩টি গোপন গণকবরে এক হাজার ১২৪টি মরদেহ পাওয়া গেছে। দেশটির জাতীয় তল্লাশি কমিশন বলছে, কাজ শুরুর প্রথম ১৩ মাসে উদ্ধার হওয়া মরদেহের মাত্র এক তৃতীয়াংশ চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে আর এক চতুর্থাংশেরও কম সংখ্যকের মরদেহ স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া গেছে। সরকার ডিএনএ ডাটাবেজ স্থাপন করে মরদেহ শনাক্তের চেষ্টা করলেও এখনও বেশিরভাগই চিহ্নিত করা যায়নি।