বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৮২ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার

0
356

বিজ্ঞপ্তি: খুলনায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের গণগ্রেফতার চলছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গণগ্রেফতার অভিযান। ২৬ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন থানায় ৮২জন নেতাকর্মীবে গ্রেফতার করা হয়েছে। লবনচরা ও সোনাডাঙ্গা থানায় নতুন করে দু’টি গায়েবী মামলা দায়ের করা হয়েছে। পূর্বের ১৫ টি মামলা দায়ের করা হয়। পূর্বের এসব মামলায় ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। কোন কারণ ও ঘটনা ছাড়াই গায়েবী মামলা দায়ের এবং নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে মহানগর বিএনপি।
শুক্রবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে শনিবার বিকাল পর্যন্ত সদর, খালিশপুর ও আড়ংঘাটা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম কামরান হাসান, রফিকুল ইসলাম, সাব্বির খান দ্বীপ, মাসুদ খান বাদল, সিদ্দিকুল্লাহ, শুকুর আলী, মুজিবর রহমান, সেলিম বড় মিয়া, হুমায়ুন কবির, কালু, মতি, আরিফুর রহমান শিমুল, মিজানুর রহমান, সন্দ্বিপ।
এদিকে গ্রেফতারি অভিযানের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে শনিবার এক বিবৃতিতে খুলনা মহানগর বিএনপি নেতারা বলেছেন, পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায় নেতা-কর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গণগ্রেফতার করছে পুলিশ। বিএনপির নেতারা বলেন, প্রতি মুহূর্তে দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, বাড়িতে হানা দিচ্ছে এবং তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের সাথে খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে নেতা-কর্মীদের পরিবার আতঙ্কিত। জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। বিএনপি নেতা-কর্মীরা বাড়ি ছাড়া। বিএনপি নেতা-কর্মীরা যাতে কর্মসূচি পালন করতে না পারে সে জন্য সাড়াশী অভিযান। এই গণগ্রেফতার অভিযান সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক এবং অর্থবহ নির্বাচন অনুষ্ঠানের অন্তরায়।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, নির্বাচনী মাঠ ফাঁকা করতেই আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপি নেতা-কর্মীদের গণগ্রেফতার করছে। খুলনা ভোট ডাকাতির মেয়র নির্বাচনের মতো আরেকটি মডেল নির্বাচন করতেই এই গণগ্রেফতার অভিযান। অবিলম্বে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা গায়েবী মামলা প্রত্যাহার, গ্রেফতার নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভবিষ্যতে রাজনৈতিক কর্মীরা হয়রানির শিকার না হয়, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বিএনপি যেন বিনা বাঁধায় আগামী নির্বাচনে প্রস্তুতি কাজ করতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে নগর বিএনপি।
বিবৃতিদাতারা হলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই, সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, সৈয়দা নার্গিস আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, মীর কায়সেদ আলী, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, সিরাজুল ইসলাম, জলিল খান কালাম, ফখরুল আলম, এ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, ইকবাল হোসেন খোকন ও আসাদুজ্জামান মুরাদ প্রমুখ।