বন্ধ পাটকল চালু ও শ্রমিকদের পাওনার দাবিতে বিজেএমসির আঞ্চলিক কার্যালয় ঘেরাও

0
193

খবর বিজ্ঞপ্তি:
অনতিবিলম্বে বন্ধ পাটকল চালু ও বদলি-অস্থায়ী শ্রমিকদের বকেয়া পাওনার দাবিতে আজ ১০:৩০ ঘটিকার সময় খালিশপুর পিপলস্ গোল চত্বর থেকে খুলনা যশোর অঞ্চলের নয়টি মিলের বদলি, আস্থায়ী শ্রমিক ও শ্রমিক হাজিরায় কর্মচারীরা সম্মিলিতভাবে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিজেএমসি আঞ্চলিক কার্যলয় এসে জোন অফিস ঘেরাও করে। পাটকল রক্ষায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এ ঘেরাও কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সমন্বয়ক রুহুল আমিন।
উক্ত দাবি আদায়ের ঘেরাও কর্মসুচিতে যোগ দেন শ্রমিক অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ন আহ্ববায়ক আরমান হোসাইন, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিপন আহমেদ গাজী, গনতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় জলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সুজয় শুভ, মুক্তি ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফ সোহেল, মাতঙ্গীর সদস্য নুসরাত জাহান সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
ঘেরাও কর্মসূচি চলাকালীন সময়ে বিজেএমসির জোনাল আরসিও গোলাম রাব্বানীর পক্ষ থেকে আলোচনার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। পরবর্তীতে শ্রমিকদের সম্মতিতে আলোচনার জন্য ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক রুহুল আমিনের নেতৃত্বে খালিশপুর জুটমিলের আলমগীর কবির, স্টার জুটমিলের আমির হামজা, প্লাটিনাম জুটমিলের রফিকুল ইসলাম রাফি, রিপন, জেজেআই মিলের শামস্ সাফরিন কার্যালয়ে যান।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্যর সদস্য আলমগীর হোসেন, স্টার জুটমিল; মনির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সিবিএ খালিশপুর জুটমিল; স্টার জুটমিল বদলি কমিটির নেতা হামজা গাজি, আব্দুর রাজ্জাক, মো আলামিন, সদস্য প্লাটিনাম জুটমিলসহ বিভিন্ন মিলের শ্রমিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।
আলোচনা ফলফ্রুস না হওয়ায় প্রতিনিধিরা আলোচনা বর্জন করে কর্মসুচিতে যোগ দিয়ে জানান আন্দোলনকে চুড়ান্তে নিয়ে সফল করতে আগামী ১০ তারিখ বদলি-অস্থায়ী-শ্রমিক হাজিরায় সমন্বয়ক কমিটি খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যেমে ঘোষনা করা হবে, একই সাথে ঘোষিত হবে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি।
বক্তারা বলেন, মিল বন্ধের ৭ মাস ইতমধ্যে অতিবাহিত হয়ে গেছে, অথচ আজ পর্যন্ত কোন শ্রমিক তার পূর্ণ বকেয়া বুঝে পায় নাই। আর বদলি ৩৫ হাজার শ্রমিক এখন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। এই শীতের মধ্যে তারা ছেলে সন্তান নিয়ে খেয়ে না খেয়ে জীবন যাপন করছে। নো ওয়ার্ক নো পে ভিত্তিতে পরিচালিত ৫ টি মিলের আরো ১২ হাজার শ্রমিক আজও জানে না তারা আদৈও টাকা পাবে কিনা।
আর মিল বন্ধ্যের সময় সরকার ঘোষণা করেছিল ৩ মাসের মধ্যে আধুনিকায়ন করে পুনরায় চালু করা হবে। অথচ আজ ৭ মাস পার হয়ে গেলেও মিল চালুর কোন নাম নেই।
পাটকল বন্ধের সময় সরকার ঘোষণা করেছিল ৩ মাসের মধ্যে শ্রমিকদের সকল পাওনা পরিশোধ করা হবে। অথচ আজ দীর্ঘ ৭ মাস অতিবাহিত হলেও আজও কোন শ্রমিক তার বকেয়া পরিপূর্ণভাবে বুঝে পায়নি। যে সকল স্থায়ী শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের ঘোষণা সরকার দিচ্ছে, সেই সকল শ্রমিকরাও আজো তার অর্ধেক পাওনা বুঝে পায়নি।
আর ২৫ টি মিলের বদলি- অস্থায়ী শ্রমিকরা কবে যে টাকা পাবে তার কোন ঠিক নেই। পাটমন্ত্রী তিন মাসের মধ্যে আধুনিকায়ন করে মিল চালু করার ঘোষণা দিয়েছিল। পাটকল বন্ধের ৮ মাস চলছে, অথচ নেই চালুর কোন উদ্যোগ।
এই পরিস্থিতিতে হাজার হাজার শ্রমিকদের অসহায় পরিস্থিতি ও বেকারত্ব থেকে রক্ষা পেতে পাটকল চালুর কোন বিকল্প পথ নেই। আর সুযোগ নেই ধার দেনা করে চলার। বদলি- অস্থায়ী শ্রমিকরা আজ অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছে।