মোংলা মিঠাখালি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

0
161

বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোংলা মিঠাখালি ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইস্্রাফিল হাওলাদারের বিরুদ্ধে আসন্ন ইউপি নির্বাচন কে সামনে রেখে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে এ ষড়যন্ত্র রাজনৈতিকভাবে বিএনপি- জামায়াতের লোকেরা নেপথ্যে থেকে আরো বেগবান করছে। তাই এই ষড়যন্ত্রকারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে রবিবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নবাসি, আওয়ামী লীগ ও দলের সকল সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মিঠাখালি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রীতিশ চন্দ্র হালদার। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ও লিখিত বক্তব্যে বলা হয় রাজনৈতিকভাবে নৌকা প্রতিক পেয়ে মিঠাখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মোংলা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ইস্্রাফিল হাওলাদার। চেয়ারম্যান হয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের প্রানপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল মিশন ভিষন বাস্তবায়নে মাঠ-পর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন তিনি। ইউনিয়নবাসির উন্নয়নে কাজ করে তিনি আগের থেকে আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে তাই আমাদের এই চেয়ারম্যান কে নিয়ে এলাকার কতিপয় নোংরা মন-মানসিকতার ব্যক্তিরা কৌশলে জাতির শ্রেষ্ট সন্তান মুক্তিযোদ্ধাকে ব্যবহার করে কিছু কাল্পনিক অভিযোগ উত্থাপন করে চলেছেন। যা আওয়ামীলীগ বিরোধি কতিপয় সংবাদ কর্মীর কাছে উত্থাপন করে পত্রিকায় প্রকাশ করছে। বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত ঐ খবর পড়ে আমরা সকলেই বিস্মিত হয়েছি। কারন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে তার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। তিনি আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি, অতএব কোন মুক্তিযোদ্ধাকে তিনি লাঞ্চিত করেন নাই। বরং আমাদের ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কেশব লাল মন্ডলের ভাইয়ের ছেলে সুখদেব মন্ডল ৩/৪ বছর আগে একটি অনৈতিক কাজে ধরা পড়ে। বিষয়টি আমাদের চেয়ারম্যান কে জানানো হলে তিনি দ্রæত ঘটনাস্থলে যান এবং তার পিতা-মাতাকে ডেকে সুখদেব কে শাসন করে ছাড়িয়ে আনেন। এখানে মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চিত করার কোন ঘটনা নেই। মুক্তিযোদ্ধাকে কোন ভয়ভীতি দেখানো হয় নাই। সে জাতির শ্রেষ্ট সন্তান, তিনি বাড়ীতে থেকেই স্বাভাবিক কাজকর্ম করছেন। আর অপর অভিযোগকারি শিক্ষক মহিদুল ইসলাম স্কুলের মধ্যে খাট –বিছানা রেখে বিশ্রাম করেন। যা দেখে এলাকাবাসি নানা সন্দেহ পোশন করে চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করলে চেয়ারম্যান সরেজমিন পরিদর্শন করে খাটসহ বিছানাপত্র বের করে দেন। তা আবার ২/৩ বছর আগে। এছাড়া ঐ স্কুলে প্রথম শেনী থেকে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত ৮/১০জনের বেশী ছাত্র-ছাত্রী না থাকার বিষয়ে স্কুল শিক্ষকদের একটু আন্তরিক হতে বলেন চেয়ারম্যান। এতে ওই শিক্ষক আমদের চেয়ারম্যানের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যানের প্রতিপক্ষদের সাথে হাত-মিলিয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে । যা জনপ্রিয় এই চেয়ারম্যানসহ আমাদের দলের ভাবমুর্ত্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হোটেলসহ ক্যাসিনো ব্যবসার অভিযোগ করা হয়েছে। অথচ গোটা মোংলা উপজেলায় কোথাও ক্যাসিনো নাই। যার সঠিক তদন্ত হলে সত্যতার প্রমান মিলবে। অভিযোগকারিরা আইনের কাছে না গিয়ে সংবাদকর্মীদের কাছে যে অভিযোগ করেছে তা সম্পুর্ন উদ্দেশ্যমুলক এখানে আইন প্রয়োগকারিসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। কারন যারা এ মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য ইউনিয়নবাসি ও দলের পক্ষ থেকে জোর দাবী জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে চেযারম্যানসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ নেতাকর্মীসহ ইউনিয়নের গুনী ব্যাক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।#